কলকাতা: প্রথম ডোজ় বিনামূল্যেই পেয়েছেন, এখন হন্যে হয়ে ঘুরছেন দ্বিতীয় ডোজ়ের জন্য। এমন মানুষের সংখ্যা কম নয় রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দ্বিতীয় ডোজ়ের জন্য অপেক্ষার তালিকায় রয়েছেন বাংলার প্রায় ৩৭ লক্ষ মানুষ। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় ডোজ় নিয়ে কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের। মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব একটি কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
মঙ্গলবারের নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা হয়েছে, “দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকমের দেরি মেনে নেওয়া হবে না। প্রতিদিনের বরাদ্দের মধ্যেই নির্দিষ্ট সময়ানুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ় দিতে হবে।” এই মর্মে নতুন নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে এখন যত সংখ্যক টিকা এসে পৌঁছবে তার ৫০ শতাংশই দ্বিতীয় ডোজ়ের জন্য বরাদ্দ করা হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ৩৭ লক্ষ মানুষ রয়েছেন যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ়ের কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, বা আগামী জুলাই মাসে হয়ে যাবে। কিন্তু, তাঁরা এখনও টিকা নিতে পারছেন। সেই মানুষগুলিকে অবিলম্বে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় মিলিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২ কোটি ১০ লক্ষের বেশি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। কিন্তু আজকের নির্দেশিকার পর প্রশ্ন উঠছে, মোট প্রাপ্ত ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশই যদি দ্বিতীয় ডোজ়ের জন্য বরাদ্দ হয়, তবে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের গণটিকাকরণ মসৃণভাবে চলবে কীভাবে?
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার ক্যাম্পে টিকা বিভ্রাট, মিলছে না ভ্যাকসিনের ৩০ টি ডোজ়ের হিসেব
এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্যে তীব্র টিকার সঙ্কট রয়েছে। তাই আপাতত টিকার সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি না পাওয়া পর্যন্ত জেলায় জেলায় এই নিয়মই বহাল থাকবে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় ডোজ়ের জন্যই বরাদ্দ করা হবে ৫০ শতাংশ টিকা। একই সঙ্গে আগামী দু’দিন কলকাতা পুরসভার কোনও ক্যাম্পে প্রথম ডোজ়ের টিকাকরণ হবে না বলেই জানানো হয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ়ই দেওয়া হবে কলকাতা পুরসভায়।
আরও পড়ুন: দেশে আসছে চতুর্থ ভ্যাকসিন, তবে সবার জন্য নয়