কলকাতা: দেবাঞ্জন কাণ্ডে ভুয়ো ভ্যাকসিনের ফরেন্সিকের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। এরই মধ্যে ভুয়ো টিকাকরণের অভিযোগ উঠেছে সোনারপুরেও। সেই ঘটনার পরই ভ্যাকসিনের ভায়াল বণ্টনে আরও কড়াকড়ি করল স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী রাজ্যের সমস্ত মুখ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠক করেন এবং তিনটি বড় নির্দেশ দেন।
সোমবারের নির্দেশের মাধ্যমে স্পষ্ট, স্বাস্থ্য দফতরের হেফাজত থেকে কোনও ভাবে টিকার ভায়াল যাতে উধাও হয়ে না যায় তা নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন। ঘটনাচক্রে, প্রথমে দেবাঞ্জন কাণ্ড এবং এ বার সোনারপুর টিকা-কাণ্ড। দু’ক্ষেত্রেই টিকা কোথা থেকে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিশেষত, যেহেতু দেবাঞ্জন কাণ্ডে ফরেন্সিক রিপোর্টে কী তথ্য উঠে এসেছে তা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি; এই অবস্থায় এদিনের বৈঠকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এ দিন যে তিনটি নির্দেশ দিয়েছেন তার মধ্যে প্রথম হল- কোল্ড চেইন পয়েন্ট থেকে ক’টি ভায়াল প্রতিদিন টিকাকেন্দ্রগুলিতে যাচ্ছে এবং দিনের শেষে সেই সব ভায়াল ফিরল কি না, তার হিসেব নথিভুক্ত করে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য দফতরের বিশ্বস্ত লোকের হাতেই থাকবে ভায়াল বণ্টনের ভার। এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ নির্দেশ হল, ব্যক্তি উদ্যোগে কোনও ক্যাম্প করা যাবে না। দুয়ারে টিকাও নয়! স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথায়, “বাড়ি বাড়ি টিকাকরণে আমাদের সমর্থন নেই। কেউ তা করলে বেআইনি।” আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে নয়া কেলেঙ্কারি! পাশ করাতে ৫০০ টাকা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক