কলকাতা: সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলে যোগ দিয়েই দলের সহ সভাপতি পদও পেয়েছেন তিনি। সকলেই মুখিয়ে, বিজেপির হাঁড়ির খবর এবার বোধহয় দিলেন ফাঁস করে। একুশের ভোটের আগে বিজেপির ‘ওয়ার রুমে’ ঠিক কী চলেছিল, তাও বোধহয় এবার সামনে এল! টিভিনাইন বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে এসে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। একুশের ভোটের আগে দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সে সময় একের পর এক তৃণমূল নেতা চার্টার্ড বিমানে চেপে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পরের ফ্লাইটে কলকাতায় ফেরত। এদিকে ভোটে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর তাঁদের অনেকেরই আবার ‘ঘর ওয়াপসি’ও হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে দলের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। দিলীপ ঘোষ কেন এই নেতাদের দলে ঢোকালেন, প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সে সময় দিলীপ ঘোষ কতটা ‘অসহায়’ ছিলেন, সে কথাই তুলে ধরেন জয়প্রকাশ।
জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, একুশের ভোটের কয়েক মাস আগে হঠাৎই দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত যে একেবারেই যথোপযুক্ত হয়নি সে কথা বার বার তিনি দলের অন্দরে বললেও তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। টাকা খরচ করে ভোট বৈতরণী যে পার করা যায় না তা বিজেপি বোঝেনি। এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “বিজেপি প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করেছিল ভোটের আগে। তবে লড়েছিল ওপর ওপর। যেভাবে প্রার্থী চয়ন হয়েছিল, তাতেই সব গোলমাল। ওই চার্টার্ড প্লেনে করে যখন যাওয়া হত দিল্লিতে, তখন অসহায়ভাবে দিলীপবাবু যেতেন। তাঁর কাছে কোনও তালিকা থাকত না। কারণ তাঁকে বলা হয়েছিল চুপচাপ থাকুন, নয়ত সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো আপনারও সভাপতিত্ব যাবে। তিনি আমাকে নিজে বলেছেন, ‘আমার কিছু করার নেই। আমাকে বলেছে, যাবে, বক্তৃতা দেবে আর এই করবে’।”
একুশের ভোটের পর পরই দিলীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দলের অন্দরে। কেন একের পর এক তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল, কেন রাজ্য সভাপতির এ নিয়ে কিছু বলার নেই, কেনই বা পুরনো কর্মীদের ছেড়ে সদ্য দলে যোগ দেওয়া নেতাদের টিকিট দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির একাংশ। ভোটের ফল প্রকাশের পর বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। জয়প্রকাশ মজুমদারের এদিনের বক্তব্য, পদ হারানোর ভয় ছিল দিলীপের। তৈরি হয়েছিল অসহায়তাও। তাই মুখ বুজে দলের নির্দেশ মানতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: বারবার দল বদল কেন? কারণ খোলসা করলেন জয়প্রকাশ
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: কোথায় ‘অসুখ’? বঙ্গ বিজেপির গোপন তথ্য ফাঁস করলেন জয়প্রকাশ!
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: লকেটও কি তৃণমূলমুখী? ভিতরের খবর জানালেন জয়প্রকাশ
কলকাতা: সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলে যোগ দিয়েই দলের সহ সভাপতি পদও পেয়েছেন তিনি। সকলেই মুখিয়ে, বিজেপির হাঁড়ির খবর এবার বোধহয় দিলেন ফাঁস করে। একুশের ভোটের আগে বিজেপির ‘ওয়ার রুমে’ ঠিক কী চলেছিল, তাও বোধহয় এবার সামনে এল! টিভিনাইন বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে এসে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। একুশের ভোটের আগে দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সে সময় একের পর এক তৃণমূল নেতা চার্টার্ড বিমানে চেপে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পরের ফ্লাইটে কলকাতায় ফেরত। এদিকে ভোটে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর তাঁদের অনেকেরই আবার ‘ঘর ওয়াপসি’ও হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে দলের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। দিলীপ ঘোষ কেন এই নেতাদের দলে ঢোকালেন, প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সে সময় দিলীপ ঘোষ কতটা ‘অসহায়’ ছিলেন, সে কথাই তুলে ধরেন জয়প্রকাশ।
জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, একুশের ভোটের কয়েক মাস আগে হঠাৎই দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হল। এই সিদ্ধান্ত যে একেবারেই যথোপযুক্ত হয়নি সে কথা বার বার তিনি দলের অন্দরে বললেও তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। টাকা খরচ করে ভোট বৈতরণী যে পার করা যায় না তা বিজেপি বোঝেনি। এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “বিজেপি প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করেছিল ভোটের আগে। তবে লড়েছিল ওপর ওপর। যেভাবে প্রার্থী চয়ন হয়েছিল, তাতেই সব গোলমাল। ওই চার্টার্ড প্লেনে করে যখন যাওয়া হত দিল্লিতে, তখন অসহায়ভাবে দিলীপবাবু যেতেন। তাঁর কাছে কোনও তালিকা থাকত না। কারণ তাঁকে বলা হয়েছিল চুপচাপ থাকুন, নয়ত সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো আপনারও সভাপতিত্ব যাবে। তিনি আমাকে নিজে বলেছেন, ‘আমার কিছু করার নেই। আমাকে বলেছে, যাবে, বক্তৃতা দেবে আর এই করবে’।”
একুশের ভোটের পর পরই দিলীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দলের অন্দরে। কেন একের পর এক তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল, কেন রাজ্য সভাপতির এ নিয়ে কিছু বলার নেই, কেনই বা পুরনো কর্মীদের ছেড়ে সদ্য দলে যোগ দেওয়া নেতাদের টিকিট দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির একাংশ। ভোটের ফল প্রকাশের পর বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। জয়প্রকাশ মজুমদারের এদিনের বক্তব্য, পদ হারানোর ভয় ছিল দিলীপের। তৈরি হয়েছিল অসহায়তাও। তাই মুখ বুজে দলের নির্দেশ মানতে হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: বারবার দল বদল কেন? কারণ খোলসা করলেন জয়প্রকাশ
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: কোথায় ‘অসুখ’? বঙ্গ বিজেপির গোপন তথ্য ফাঁস করলেন জয়প্রকাশ!
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: লকেটও কি তৃণমূলমুখী? ভিতরের খবর জানালেন জয়প্রকাশ