ফি বছর বর্ষা এলেই ভুগিয়ে মারে কেষ্টপুর খাল। খাল উপচে রাস্তা ভাসে জলে, মশাবাহিত রোগও ভুগিয়ে মারে। ডেঙ্গির মরসুমে এই খাল যেন সাক্ষাৎ মারণ হুমকি। আগের বছরই রাজ্যের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল খাল সংস্কারের কাজ হবে। মানুষের ভোগান্তিও ভ্যানিশ হবে।
সোমবার সেই কেষ্টপুর খাল ঘুরে দেখেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী- সহ সেচ দফতরের অধিকারিকরা।
সেচ মন্ত্রী জানান, কলকাতা-সংলগ্ন শহরতলির মানুষের খাল সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেইসব খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কেষ্টপুর খাল লাইফলাইন। সবটা ঘুরে দেখা হল।
পার্থ ভৌমিক জানান, এই খালের সংস্কার তো হবেই। একইসঙ্গে এই খালকে কেন্দ্র করে জনজীবনে কী সমস্যা তাও দেখা হবে। মার্চ মাসকে টার্গেট করে এগোচ্ছে সেচ দফতর ও পুরনিগম। নজরে রয়েছে নিকাশি সমস্যাও। খালের হাল ফেরাতে মরিয়া সেচ দফতর।
চলতি বছর পুজোর মরসুমেই কেষ্টপুর খালের উৎস থেকে পলি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। কতদূর সে কাজ এগোল এদিন তাও খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। নজরে রয়েছে স্ল্যাব শাটারের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও।
সল্টলেক, দক্ষিণ দমদমের একটা বিরাট অংশের নিকাশি ব্যবস্থা এই কেষ্টপুর খালের উপর নির্ভরশীল। এ সমস্যা মিটলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।