DA Protest: বন্ধ থাকবে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা? ডিএ’র দাবিতে ধর্মতলা থেকে কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
DA: সরকারি কর্মচারী, আধা সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুরসভার কর্মী-সহ আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করছে এরকম ২৮টি সংগঠন নিয়ে আমাদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
কলকাতা: বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) ও সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছে ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। ২৮টি সরকারি সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চ। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিল তারা। এই মঞ্চের রাজ্য কনভেনার ভাস্কর ঘোষ বলেন, “আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টো থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত সমস্ত সরকারি বিভাগ, সরকারি হাসপাতাল, সরকারি স্কুল, সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি পালিত হবে। এই মঞ্চ থেকে আমরা তার ডাক দিলাম। সমস্ত সরকারি বিভাগ এগিয়ে আসুক। তাতে কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।” তবে তারা জানিয়েছে, কোনও জরুরি পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকেও নজর থাকবে তাদের। গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার দাবি নিয়ে বিড়ম্বনায় রাজ্য সরকার। আদালতও জানিয়ে দিয়েছে, এই মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। ডিএ তাই দিতেই হবে। এরপর জল গড়িয়েছে বহু দূর। সরকারও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রের কর্মীদের হারে ডিএ চাইলে চলে না। রাজ্যের কোনও ডিএ বাকিও নেই। তবে এতে জট কাটেনি।
এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মচারী, আধা সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুরসভার কর্মী-সহ আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করছে এরকম ২৮টি সংগঠন নিয়ে আমাদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তৈরি হয়েছে। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে আমরা। আমাদের ২টোই দাবি। এক, এ রাজ্যের কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের মহার্ঘ ভাতা বকেয়া। সেই বকেয়া আজ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। এই বৈষম্য স্বাধীনতার পর ভারতের কোনও অঙ্গরাজ্যে নজিরবিহীন। আমাদের দাবি, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে তাতে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি আমরা। এই দুই দাবি আমাদের।”
ভাস্কর ঘোষের কথায়, গত ২৭ জানুয়ারি থেকে বেলা ২টো থেকে ধরনায় বসে তাঁরা। লাগাতার ধরনা চলছে। ৫০ ঘণ্টা পার করেছে তা। তাই বুধবার ২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হল। তবে তাতে কাজ না হলে আরও বড় আন্দোলনে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সার্ভিস ডক্টর ফোরামের তরফে এদিন উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সজল বিশ্বাস। তিনি বলেন, “৩৮ শতাংশ ডিএ বকেয়া। সার্ভিস ডাক্তার, নার্সেস ইউনিটির প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এই যৌথ মঞ্চে। যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাঁরাও বাধ্য হয়েছে এখানে আসতে। সরকার বাধ্য় করছে। আমরা জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত করব না। তা বাদ দিয়ে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সমস্ত পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের ২ ঘণ্টা কর্মবিরতিতে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে কোনও জরুরি পরিষেবা বিঘ্নিত করার আহ্বান জানাচ্ছি না।”