Calcutta High Court: সাত বছর আগে টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে বর্তমানদের নম্বরের বিস্তর ফারাক, এবার নজর দিচ্ছে হাইকোর্ট
Calcutta High Court: মামলাকারী দাবি করেন, এভাবে তো ইন্টারভিউ বোর্ডে ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আগেই বাদ পড়ে যাবেন। তাই এই সমতা বজায় রাখার মামলাটি হয়।
কলকাতা: চাকরি প্রার্থীদের জন্য আগেই ‘মিত্র কমিটি’ গড়ে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Avijit Ganguly)। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, এই কমিটি ইতিহাস তৈরি করবে। সারা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সম্প্রতি চাকরি প্রার্থীদের যোগ্যতা বিচারের ক্ষেত্রে সমতা রাখতে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক শুভময় মৈত্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করেছে হাইকোর্ট। নম্বরে সমতা বজায় রাখার একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, গত দু’দশকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক নম্বরের হার অনেকটাই বেড়েছে। বদল এসেছে পরীক্ষা পদ্ধতিতে। বর্তমানে পাশ করা পড়ুয়াদের সঙ্গে যদি পুরনো পড়ুয়াদের নম্বরের তুলনা করা হয়, সেক্ষেত্রে পুরনোরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে। এদিকে নিয়োগের পরীক্ষার ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর গুরুত্ব পায়। ফলে শতাংশের নিরিখে নবপ্রজন্ম এগিয়ে থাকছে বলেই অভিযোগ ছিল মামলাকারীর। সেই কারণেই এই কমিটি গঠন করে হাইকোর্ট।
মামলাকারীর বক্তব্য, ২০১৪ সালে যিনি টেট পাশ করেছেন, তিনি তার বেশ কিছুটা আগেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। এর মধ্যে সিলেবাসে বদল এসেছে। বদল এসেছে পরীক্ষার মূল্যায়ণ পদ্ধতি, নম্বরের বিন্যাসেও। ফলে ২০২২ সালে যাঁরা টেট দিয়েছেন, তাঁরা নম্বরের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকছেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাকাডেমিক স্কোরের ক্ষেত্রেও বিস্তর ফারাক থাকছে তাঁদের। ফলে নম্বরের ক্ষেত্রে সমতা থাকছে না বলে মামলা হয়।
মামলাকারী দাবি করেন, এভাবে তো ইন্টারভিউ বোর্ডে ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আগেই বাদ পড়ে যাবেন। তাই এই সমতা বজায় রাখার মামলাটি হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। তিনি এই কমিটি তৈরি করে দেন। যোগ্যতা বিচার কীভাবে করা যেতে পারে, তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। সেই কমিটি এদিন প্রাথমিক কাজ শেষ করার জন্য আরও এক মাস সময় চাইল।
শুভময় মৈত্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যর এই কমিটিতে থাকবেন স্কুল এডুকেশনের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিও। তৃতীয়জনের নাম দেবেন মামলাকারী নিজেই। এই রিপোর্ট তৈরির জন্য কোনও টাকা নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সমস্ত প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের তথ্য চেয়েছে কমিটি। প্রথমে ২৫ জানুয়ারি রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে কমিটির তরফে আরও একমাস সময় চাওয়া হয়েছে। এক মাস পর রিপোর্ট দেবে তারা।