Naushad Siddiqi: ‘ফয়দা তোলার জন্য হাজির হয়ে যান’, ইদে মমতার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা নওশাদের

Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে বলেন, “আমি তো বলব আপনারা শান্তিতে থাকুন। কারও কথা শুনবেন না। কেউ কেউ বিজেপির কাছে টাকা নিয়ে গিয়েছে। ওরা বলছে মুসলিম ভোট ভেঙে দেবো। আমি বলি তোমাদের এত ক্ষমতা নেই।”

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Apr 23, 2023 | 7:40 PM

কলকাতা: ইদের শুভেচ্ছা-মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে রাজনীতির কথা কেন, প্রশ্ন তুললেন নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, ধর্মীয় মঞ্চকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। রেড রোডের মঞ্চ থেকে কেন রাজনৈতিক বার্তা, ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে প্রশ্ন নওশাদের। নওশাদ বলেন, “যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা যে কোনও জমায়েত থেকে ফয়দা তোলার জন্য ওনারা হাজির হয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছর রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে যান। আর যেকোনও ধর্মীয় জমায়েতকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে অবলীলায় ব্যবহার করেন। তাঁর এমন কাজের জন্য বাংলার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে বাজে একটা বার্তা যাচ্ছে।”

শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে খুশির ইদ। প্রতি বছরই মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডে ইদের নমাজে যান। সকলকে শুভেচ্ছাবার্তা দেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তো বলব আপনারা শান্তিতে থাকুন। কারও কথা শুনবেন না। কেউ কেউ বিজেপির কাছে টাকা নিয়ে গিয়েছে। ওরা বলছে মুসলিম ভোট ভেঙে দেবো। আমি বলি তোমাদের এত ক্ষমতা নেই।”

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শনিবারই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, “বিভাজনের রাজনীতি কে করছে সব বুঝে গিয়েছেন মানুষ।” তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যকে বাঁচানোর কথা বলেছেন। নওশাদ সিদ্দিকি নিজেকে ফুরফুরা শরিফের লোক ঘোষণা করে তারপর একটা রাজনৈতিক দল করেছেন। সিপিএমের সঙ্গে গিয়েছেন, এখন বিজেপির কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে দল চালাচ্ছেন। ওনারই তো লজ্জা হওয়া উচিত। তাই ওনাকে অত চিন্তা করতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বাংলা বাঁচানোর কথা বলেছেন। বাংলা বাঁচলে হিন্দু, মুসলমান সকলে বাঁচবেন, এই সরল তত্ত্বটুকু উনি বুঝতে পারেননি।”

এ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “উনি যদি এটা বিশ্বাস করতেন আরএসএস ডাকলেন কেন এখানে? পশ্চিমবঙ্গে খাল কেটে কুমির আনলেন কেন? বিভাজনের রাজনীতি কে করছে সব বুঝে গিয়েছেন মানুষ।” অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “ধর্মীয় সভায় গিয়ে রাজনৈতিক ভাষণ শুনে সকলে বুঝে গিয়েছে এই লোকসভা ভোটে তাঁদের সংখ্যালঘু ভোটই হাতিয়ার। আর কোনও গতি নেই।”

 

কলকাতা: ইদের শুভেচ্ছা-মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে রাজনীতির কথা কেন, প্রশ্ন তুললেন নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, ধর্মীয় মঞ্চকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। রেড রোডের মঞ্চ থেকে কেন রাজনৈতিক বার্তা, ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে প্রশ্ন নওশাদের। নওশাদ বলেন, “যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা যে কোনও জমায়েত থেকে ফয়দা তোলার জন্য ওনারা হাজির হয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছর রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে যান। আর যেকোনও ধর্মীয় জমায়েতকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে অবলীলায় ব্যবহার করেন। তাঁর এমন কাজের জন্য বাংলার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে বাজে একটা বার্তা যাচ্ছে।”

শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে খুশির ইদ। প্রতি বছরই মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডে ইদের নমাজে যান। সকলকে শুভেচ্ছাবার্তা দেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তো বলব আপনারা শান্তিতে থাকুন। কারও কথা শুনবেন না। কেউ কেউ বিজেপির কাছে টাকা নিয়ে গিয়েছে। ওরা বলছে মুসলিম ভোট ভেঙে দেবো। আমি বলি তোমাদের এত ক্ষমতা নেই।”

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে শনিবারই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, “বিভাজনের রাজনীতি কে করছে সব বুঝে গিয়েছেন মানুষ।” তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যকে বাঁচানোর কথা বলেছেন। নওশাদ সিদ্দিকি নিজেকে ফুরফুরা শরিফের লোক ঘোষণা করে তারপর একটা রাজনৈতিক দল করেছেন। সিপিএমের সঙ্গে গিয়েছেন, এখন বিজেপির কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে দল চালাচ্ছেন। ওনারই তো লজ্জা হওয়া উচিত। তাই ওনাকে অত চিন্তা করতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বাংলা বাঁচানোর কথা বলেছেন। বাংলা বাঁচলে হিন্দু, মুসলমান সকলে বাঁচবেন, এই সরল তত্ত্বটুকু উনি বুঝতে পারেননি।”

এ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “উনি যদি এটা বিশ্বাস করতেন আরএসএস ডাকলেন কেন এখানে? পশ্চিমবঙ্গে খাল কেটে কুমির আনলেন কেন? বিভাজনের রাজনীতি কে করছে সব বুঝে গিয়েছেন মানুষ।” অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “ধর্মীয় সভায় গিয়ে রাজনৈতিক ভাষণ শুনে সকলে বুঝে গিয়েছে এই লোকসভা ভোটে তাঁদের সংখ্যালঘু ভোটই হাতিয়ার। আর কোনও গতি নেই।”