RBU: রবীন্দ্রভারতীতে তৃণমূল ছাত্রনেতার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, পরদিনই ক্যাম্পাসে পুলিশ! উঠছে প্রশ্ন
Rabindra Bharati University: প্রশ্ন উঠছে, কে ডাকল ক্যাম্পাসে পুলিশকে? উপাচার্য না চাইলে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে পারে না। এদিকে উপাচার্যও খুব স্পষ্ট করেননি এই পুলিশ মোতায়েনে কী ভূমিকা তাঁর?
কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (RBU) ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন নিয়ে শোরগোল। শুক্রবার রবীন্দ্রভারতীর বিটি রোডের ক্যাম্পাসে পুলিশ দেখা যায়। প্রশ্ন ওঠে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ কেন? এর আগে রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকোর ক্যাম্পাসে তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় খোলাকে ঘিরে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকে তিন শিক্ষাকর্মীর প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এক তৃণমূল ছাত্রনেতারও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপরই শুক্রবার বিটি রোডের যে ক্যাম্পাসে উপাচার্য বসেন, সেখানে দেখা যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কে ডাকল ক্যাম্পাসে পুলিশকে? উপাচার্য না চাইলে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে পারে না। এদিকে উপাচার্যও খুব স্পষ্ট করেননি এই পুলিশ মোতায়েনে কী ভূমিকা তাঁর?
রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, “মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা বিচারাধীন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মামলায় যে অভিযোগ রয়েছে, তার জন্য কী পদক্ষেপ করেছে? সেই কারণেই কর্মসমিতির জরুরি সভা ডাকা হয়েছিল। কর্মসমিতিতেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়।”
কিন্তু ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? উপাচার্যের বক্তব্য, “পুলিশের ব্যাপার একেবারেই অনভিপ্রেত। আমরা মনে করি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রাঙ্গনে পুলিশ থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আগামিদিনে থাকবেও না। কিন্তু আজকের পরিস্থিতিতে যে কোনও কারণেই হোক পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। পুলিশের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে। আজকের পরে তারা ক্যাম্পাসে থাকবেনও না। কোথাও হয়ত তাদের কাছে খবর আছে আজকের পরিস্থিতিতে থাকা দরকার, সে কারণে তাদের থাকতে হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রাঙ্গনে পুলিশ অনভিপ্রেত।”
যে ছাত্রনেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই বিশ্বজিৎ দে বলেন, “জনস্বার্থ মামলা তো যে কারও নামেই করা যায়। একজন কারও নামে অভিযোগ করলে তা তো তদন্তসাপেক্ষ। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি হতেই পারে। কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই যদি কেউ সাসপেন্ড করে দেয় সেটা কি ঠিক? সকলেরই তো আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার আছে। সেটাও কি করা হয়েছে?”