Firhad Hakim: ‘শিল্পের দিক থেকে আমরা পিছিয়ে’, অকপটে স্বীকার ফিরহাদের
Firhad Hakim: ফিরহাদ হাকিম বললেন, "আমাদের ১০ বছর লেগে গিয়েছে আপনাদের আশ্বস্ত করতে, ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে।"
কলকাতা: রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলায় শিল্প (Industry in West Bengal) টানতে আরও বেশি করে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার এই নিয়ে মুখও খুলেছেন তিনি। রাজ্যে বড় শিল্প বিনিয়োগ টানতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। বছর বছর বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন করা হচ্ছে। কিন্তু বিরোধীরা বার বার অভিযোগ তুলছে রাজ্যে শিল্প নেই। এবার রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন মমতার ক্যাবিনেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বললেন, “ইন্ডাস্ট্রির দিক থেকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। কারণ, ৩৪ বছর ধরে যে শিল্প হয়েছে, তারা পালিয়ে গিয়েছে এখান থেকে। তারপর আমাদের ১০ বছর লেগে গিয়েছে আপনাদের আশ্বস্ত করতে, ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে।” কলকাতায় টয় এক্সিবিশনের অনুষ্ঠানে এসে এই কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম।
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এখানে বনধ নেই। এখানে লাল ঝান্ডা নেই। এখন এমন একটা জায়গা তৈরি হয়েছে, যেখানে লোকজন বলছে যে, হ্যাঁ, এখানে ব্যবসা করা যায়। কাজ করার মতো পরিবেশ রয়েছে। এখন আমরা আবার রাজ্যে ইন্ডাস্ট্রি বসাচ্ছি।” শুক্রবার ফের একবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রীকে। বললেন, ” বড় বড় শিল্প যেগুলি রয়েছে, সেগুলি ঠিক আছে। কিন্তু সবথেকে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করে ক্ষুদ্র শিল্প। আমিও একটি প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি চালাই ৩৮ বছর ধরে। আমিও ক্ষুদ্র শিল্পের ভাল-মন্দ বুঝি। সেটি তো এখনও চলছে, সেই দিয়েই সংসার চলছে। কিন্তু সামাজিক ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ঠিকভাবে সময় দিতে পারিনি, তাই সেভাবে বাড়েনি। আমার অন্যান্য বন্ধুদের ব্যবসা ভাল বেড়ে গিয়েছে।”
এদিক ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, “এই টয় ইন্ডাস্ট্রি এমন, পুরো ভারতের যে চাহিদা তা পূরণ করত চীন। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই যে চিন থেকে আমদানির পলিসির রয়েছে তার উপর কিছু নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। ১২ লাখ কোটি টাকার যদি ব্যবসা করতে হয়, তাহলে এখানে আমাদেরকে ইন্ডাস্ট্রি বানাতে হবে। আমার মতে দেশের পূর্ব অংশের যে উন্নয়ন… তা অনেক উপরে যাবে।” প্রসঙ্গত, এদিন থেকে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হল টয় এক্সিবিশন। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্টল এখানে অংশগ্রহণ করেছে।”