Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগে ভুয়ো ওয়েবসাইট! তাপসের তথ্যে কোটি কোটি টাকার খেলার অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 14, 2023 | 4:25 PM

Recruitment Scam: সূত্রের খবর, এই ঘটনার তথ্য প্রমাণ সিবিআই আধিকারিকরাও হাতে পেয়েছেন। সূত্রের দাবি, যাঁরা টাকা তুলতেন তাঁরা একটা ডায়েরিতে নাম-সহ সই করে রাখতেন।

Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগে ভুয়ো ওয়েবসাইট! তাপসের তথ্যে কোটি কোটি টাকার খেলার অভিযোগ

Follow Us

কলকাতা: নিত্য নতুন নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ। এক একদিন এক একটা ছবি সামনে উঠে আসছে। এবার সেই অভিযোগের তালিকায় নয়া সংযোজন। চাকরির টোপ দিয়ে টাকা তুলতে ওয়েবসাইট খোলার অভিযোগ উঠল। চাকরি হয়েছে টাকার বিনিময়ে, এই অভিযোগ নতুন নয়। চাকরির টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠল। প্রার্থীদের আশ্বস্ত করতে ফেক ওয়েবসাইটও তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। যাঁরা টাকা দিতেন, সেই ওয়েবসাইটে এম্প্যানেলড হয়ে নাম উঠে যেত তাঁদের। এভাবেই ভুল বুঝিয়ে চাকরির নামে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে এজেন্টদের পকেটে। ইতিমধ্যেই তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই এজেন্টের নামও উঠে এসেছে। কয়েকদিন আগে মালদায় ধরা পড়েন ভুয়ো নিয়োগপত্র-সহ চাকরিরত এক শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ভুয়ো সার্টিফিকেটও তৈরি করা হয়েছে? দুর্নীতির অভিযোগের পরিধি ক্রমেই বাড়ছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার তথ্য প্রমাণ সিবিআই আধিকারিকরাও হাতে পেয়েছেন। সূত্রের দাবি, যাঁরা টাকা তুলতেন তাঁরা একটা ডায়েরিতে নাম-সহ সই করে রাখতেন। আর এভাবেই চলত পকেট ভরার কাজ। তাপস মণ্ডল লাগাতার নথি দিচ্ছেন সিবিআইকে। তাতেই দুর্নীতির পেঁয়াজের খোসা খুলছে।

সম্প্রতি তাপস মণ্ডল দাবি করেন, প্রথমে ৩২৫ জনের তালিকা তৈরি হয়। তাঁদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা করে দাবি করা হয়। তাপস বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তাঁকে বলা হয়েছিল, সবাইকে আদালতে কেস করিয়ে পাশ করিয়ে দেবে। তার জন্য ক্যান্ডিডেট পিছু ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তাপস মণ্ডলের বক্তব্য ছিল, “ওই ৩২৫ জন ক্যান্ডিডেট ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিল। সবাইকে ও পাশও করিয়েছিল।”

এ বিষয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “বহুস্তরীয় দুর্নীতি হয়েছে। একদম ফর্ম ফিলআপের পর্যায় থেকে দুর্নীতি শুরু হয়। এখন তো শুনছেন ওয়েবসাইটের কথা। আরও অনেক কিছুই দেখতে পাবেন। কেউ তো ভাবতেই পারেনি সাদা ওএমআর শিট জমা পড়েছে। তাতেও পরীক্ষার্থী নম্বর পেয়ে গিয়েছেন। প্রাথমিক এডুকেশনের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগই তো টেট ২০১৪’র একটা ওএমআর শিট রাখেনি। শুধু তাই নয়, ওএমআর শিটের স্ক্যান কপিও রাখেনি। ডিজিটাল কপি রেখেছে। যার পরিবর্তন যে কোনও সময় সম্ভব। পরিকল্পিত দুর্নীতি করবে বলেই একের পর এক পন্থা নিয়েছে। সময় এসেছে প্রত্যেক দোষীকে শাস্তি দেওয়ার।”

Next Article
Weather Update : ৫১ বছরে উষ্ণতম মকর সংক্রান্তি কলকাতায়, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা
Mid Day Meal: মিড ডে মিলের টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারে? শুভেন্দুর অভিযোগ প্রসঙ্গে যা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী