Birbhum: কেষ্টহীন বীরভূম ভাগ করতে পারে তৃণমূল, এক ভাগে কাজল, অন্যতে শতাব্দী
Birbhum: সূত্রের খবর, কাজল শেখ পেতে পারেন বোলপুর সাংগঠনিক জেলার ভার। শতাব্দী পেতে পারেন বীরভূমের।

কলকাতা: শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূলের বৈঠক। যে বৈঠককে সামনে রেখে নানা মহলে নানা গুঞ্জন ভেসে আসে সকাল থেকে। নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক থেকে জেলাস্তরের নেতা, সকলকেই ডাকা হয় এই বৈঠকে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা এখন সময়ের অপেক্ষা। এরইমধ্যে তৃণমূলের এই ‘মেগা বৈঠক’কে ঘিরে বিভিন্ন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আর সবথেকে বড় জল্পনাটাই বোধহয় হচ্ছে বীরভূম নিয়ে। কারণ, এ জেলায় একা হাতে যিনি ভোট করাতেন, অন্তত রাজনৈতিক মহল তাই বলে, সেই অনুব্রত মণ্ডল দিল্লিতে। গরু পাচার মামলায় ইডির হাত ধরে রাজধানী যাত্রা হয়েছে তাঁর। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কে নেবে অনুব্রতর জায়গা, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
বীরভূমকে ২টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ভোট বৈতরণী পার হতে এই অনুব্রতর উপর ভরসা রাখত দল। এবার তিনিই নেই। তাই বীরভূমে দলীয় কোন্দল, রাজনৈতিক অশান্তি রুখতে জেলাকে সাংগঠনিকভাবে ২ ভাগে ভাগ করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, কালীঘাটের মেগা মিটিংয়ে কাজল শেখকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বোলপুর সাংগঠনিক জেলার। বোলপুর সাংগঠনিক জেলার মধ্যে থাকতে পারে বোলপুর, নানুর, লাভপুর এবং ময়ূরেশ্বর। সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটও যুক্ত হতে পারে এই সাংগঠনিক জেলায় মধ্যে।
অন্যদিকে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সাংসদ শতাব্দী রায়কে। সিউড়ি, রামপুরহাট, মুরারই, নলহাটি, সাঁইথিয়া, হাসন, দুবরাজপুর থাকতে পারে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার আওতায়।
এ বিষয়ে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “কাজল আমাদের একজন সুশৃঙ্খল সৈনিক। ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে। কাজল আমাদের সম্মান দিয়ে এগিয়ে চলে। পরামর্শ করে কাজ করে। ফলে আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। যত বিভেদ তৈরির চেষ্টাই করা হোক না কেন।”
অন্যদিতে শতাব্দী রায়ের বক্তব্য, “সংগঠক হিসাবে উনি ভাল ছিলেন নিঃসন্দেহে। সেটা নিশ্চয়ই সকলে মিস করবে। তার মানে তো এমন নয়, যে ভোট হবে না। সংগঠন ভেঙে পড়বে। যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে সংগঠন দোদুল্যমান, একেবারেই নয়। একজন নেতা যদি তাঁর কর্মীদের এতগুলো ভোট করিয়ে থাকেন, তাহলে তো কর্মীরা শিখে গিয়েছেন। ওনাকে তো সব ভোটেই নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তারপরও তো ভোট হয়েছে।”
কলকাতায় তৃণমূলের বৈঠক শেষে অবশ্য জেলার সাংগঠনিক ভাগ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া হতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বেই বীরভূমকে দু’টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করতে পারে শাসকদল।





