Mamata on Maharashtra Crisis: উদ্ধব ঠাকরের জন্য ‘ন্যায়’ চাইলেন মমতা, গণতন্ত্রকে ‘বুলডোজ’ করছে কেন্দ্র, বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, "আমরা উদ্ধব ঠাকরের জন্য ন্যায় চাই, সকলের জন্য ন্যায় চাই। শক্তির জোরে মহারাষ্ট্রের পর অন্যান্য সরকারকেও বিরক্ত করবে ওরা। এটাই পরিকল্পনা।"
কলকাতা: মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মমতা বলেন, অনৈতিকভাবে, অসাংবিধানিকভাবে টাকা দিয়ে সরকার ভাঙার খেলা খেলছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করে রাজ্যগুলিকে নিশানা করছে বিজেপি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এভাবে ‘গণতন্ত্রকে বুলডোজ’ করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “আমরা উদ্ধব ঠাকরের জন্য ন্যায় চাই, সকলের জন্য ন্যায় চাই। শক্তির জোরে মহারাষ্ট্রের পর অন্যান্য সরকারকেও বিরক্ত করবে ওরা। এটাই পরিকল্পনা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, ফেডারেল পরিকাঠামো ধ্বংস করছে বিজেপি সরকার।” এই প্রথমবার মহারাষ্ট্র সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “মহারাষ্ট্রের জন্য যা হচ্ছে শকিং। কোথায় গণতন্ত্র? একটা মনোনীত সরকার যদি গণতন্ত্রকে বুলডোজ করে, তাহলে ন্যায়ের কী হবে? আমরা সংবিধানের জন্য বিচার চাই, জনগণের নিদানের জন্য বিচার চাই, উদ্ধব ঠাকরের জন্য বিচার চাই। কেউ প্রতিবাদ করলেই বুলডোজ করছে। ত্রিপুরায় কীভাবে ভোট করছে, সকলে জানে। বাংলা প্রতিবাদ করে। এখানে মানবাধিকার কমিশন পাঠিয়ে দেয়, সিবিআই, ইডি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে কী হয়?”
কেন্দ্রের সরকার ‘মাসল পাওয়ার, মানি পাওয়ার’ কাজে লাগিয়ে চলছে বলে তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “কিন্তু কাল যখন ক্ষমতায় থাকবে না, কী থাকবে আপনাদের জন্য? লোকতন্ত্রে এটা হয় না। মহারাষ্ট্র সরকার ন্যায় পাওয়ার যোগ্য। এভাবে টাকা, সিবিআই দিয়ে সরকার ভেঙো না। এভাবে তোমার সরকারকেও কেউ ভেঙে দেবে। এটা গণতন্ত্রের জন্য ঠিক নয়। আমি সমর্থন করি না।”
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, যেভাবে বিপুল টাকার বিনিময়ে মহারাষ্ট্রে বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টা চলছে তা হাওলা দুর্নীতি থেকে কোথাও কম? তিনি বলেন, “সব কিছুতে সিবিআই, ইডি করে। আমার দলেরই তো ২০০ জনকে নোটিস দিয়েছে। তাঁরা অভিযুক্তও নয়। বিজেপির বেলায় সবঠিক। ওদের টাকা আছে বলে, যা খুশি করতে পারে। এটা একটা হাওলার মতো নয়? এটা বড় দুর্নীতি নয়? একটা শাসকদল টাকার বিনিময়ে মানুষ কিনে নিচ্ছে। অসমে বন্যা হচ্ছে। সেখানে সহযোগিতা না করে সেখানে অন্য ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিধায়কদের কিনে অসমে পাঠাচ্ছে। অসমে না পাঠিয়ে বাংলায় পাঠান না, ভাল আতিথেয়তা পাবে। আমরা গণতন্ত্রের যত্ন নিতে জানি।”