কলকাতা: জেলায় জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ ও অসন্তোষের ছবি ধরা পড়ছে। সবজি, ডিম কিংবা জ্বালানির জন্য বরাদ্দ টাকা গত তিন মাস ধরে থমকে রয়েছে বলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উঠছে। আর এসবের মধ্যেই আইসিডিএস ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই একপ্রকার সুর চড়ালেন তিনি। মন্ত্রী বলছেন, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকাদের উপরে যে সরকারি অফিসাররা থাকেন, অর্থাৎ সুপারভাইজ়ার বা সিডিপিও কিংবা জেলাস্তরের ডিপিও… তাঁদের বেতন এতদিন কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে দেওয়া হত। আনুপাতিক হিসেব ছিল, রাজ্য দেবে ৭৫ শতাংশ ও কেন্দ্র দেবে ২৫ শতাংশ।
কিন্তু মন্ত্রীর দাবি, ১ অগস্ট কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেতনের ২৫ শতাংশ টাকা কেন্দ্র বহন করবে না। অর্থাৎ পুরোটাই বহন করতে হবে রাজ্যকে। মন্ত্রীর দাবি, বেতনের ২৫ শতাংশের হিসেবে কেন্দ্র যে পরিমাণ অর্থ বহন করছিল, সেটা প্রায় ৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা এখন পুরোটাই রাজ্যকে বহন করতে হবে। বলছেন, ‘এই অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হল রাজ্যের উপর।’ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সেই বিষয়ে কোনও কারণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়নি বলেই দাবি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীর।
যদিও শশী পাঁজা এও জানাচ্ছেন যে কেন্দ্র ভাষা-ভাষা করে বোঝাতে চাইছে, যে পরিমাণ টাকা বেঁচে থাকছে, সেটা পরবর্তীতে আইসিডিএস-এর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। কোন পথে প্রশিক্ষণ চলবে, সেটাও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি বলেই দাবি মন্ত্রীর। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী বলছেন, ‘এতদিন প্রশিক্ষণের থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল (কেন্দ্র)। উদ্দেশ্যটা খুব একটা ভাল মনে হচ্ছে না।’ তবে টাকা আটকে থাকার যে অভিযোগ উঠে আসছে জেলায় জেলায়, সেটিও দ্রুত সামাল দেওয়া যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলছেন, ‘কেন্দ্র থেকে টাকা আটকে ছিল। ১৮ অগস্ট সেই টাকা এসেছে কেন্দ্র থেকে। তারপর দ্রুত কাজ শুরু হয়েছে এবং শীঘ্রই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।’