কলকাতা: বৃষ্টি না হলে ধান চাষে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আশঙ্কা প্রকাশ করে কৃষি দফতর ও সেচ দফতরকে বিশেষ বার্তা দিল নবান্ন। দক্ষিণবঙ্গে এখনও বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৪৭ শতাংশ। যার মধ্যে মুর্শিদাবাদে ৬৫ শতাংশ, বীরভূমে ৬৩ শতাংশ ও নদিয়াতে ৬১ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদহে সবথেকে বেশি বৃষ্টির ঘাটতি হয়েছে ৬৭ শতাংশ। এই ক’দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে ধানচাষের প্রভাব ফেলবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ নবান্নের। আগামী ১৩ ও ১৪ই জুলাই একটি নিম্নচাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই নিম্নচাপে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, মালদহের মত জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাই এই চার জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নবান্ন। সেচ দফতর ও কৃষি দফতরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
এ বছর সে অর্থে বর্ষার বৃষ্টি এখনও দেখেইনি দক্ষিণবঙ্গ। মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে রাস্তাটুকু ভিজছে বটে। পরমুহূর্তে ফের শুকনো। রোদ উঠলেই চরম অস্বস্তি। এ বছরের প্রথম থেকেই বর্ষার খামখেয়ালিপনা চলছে। এই সময় মূলত আমন ও পাট বীজ রোপণ করা হয়। আর তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত জল। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চরম সমস্যায় কৃষকরা। আবহাওয়া দফতরও আশার আলো দেখছে না। এই অবস্থায় নবান্ন সতর্ক করল কৃষি দফতরকে। বার্তা দেওয়া হয়েছে সেচ দফতরকেও।
ইতিমধ্যেই জলের অভাবে আমন ধান চাষে ক্ষতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় জলের অভাবে বীজ বপন পর্যন্ত করা যায়নি। কোথাও আবার মিনি বা ডিপ-টিউবওয়েলে পাম্প চালিয়ে ধান বীজ বপনের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে পাট কাটতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট ভেজানোর জল নেই নদী, খালগুলিতে। তাই পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পাট চাষীরা।
আগামী চার পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে তার মেয়াদ যে খুব বেশি সময়ের নয়, তার বার্তাও মিলেছে। সব জায়গাতেই ৫ থেকে ১০ মিনিটের বৃষ্টি চলবে বলে জানা গিয়েছে। বাকি সময় আকাশ আংশিক মেঘলা বা পরিষ্কারই থাকবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্ষার টানা ভারী বর্ষণের জন্য যে প্রতিকূল পরিস্থিতি প্রয়োজন, তা এখনও জোরাল নয়। সে কারণেই বর্ষার বৃষ্টিতেও কার্পণ্য।