কলকাতা: নবান্নে জমা পড়েছে রাজ্যের খসড়া শিক্ষানীতি। আগামী দিনে রাজ্যের শিক্ষানীতি কী হবে? সেই সংক্রান্তই একটি খসড়া মুখ্যসচিবের হাতে তুলে দিল রাজ্যের শিক্ষানীতি নির্নায়ক কমিটি।
সূত্রের খবর, স্কুলশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তন আসছে। জাতীয় শিক্ষা নীতির (national education policy) কিছু কিছু বিষয়কেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে ওই খসড়া (draft) শিক্ষানীতিতে। তবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পঠনপাঠনের বিষয়গুলি কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরেই ছেড়ে দিতে চায় বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকে মূল্যায়নভিত্তিক বিভাজন থাকছে। তবে এমফিল তুলে দেওয়া হতে পারে বলেও খবর মিলছে। আর এই এমফিল তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সহমত রাজ্যের শিক্ষানীতি কমিটির অনেকে।
নবান্ন সূত্রে খবর, জাতীয় শিক্ষানীতির বাইরেও রাজ্য সরকার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা নিয়ে আসছে তাদের শিক্ষানীতিতে। সেই মোতাবেক আগামী শিক্ষাবর্ষেই নয়া শিক্ষানীতি চালু করে দিতে চায় রাজ্য। শুক্রবার এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকেই খসড়া শিক্ষানীতি মুখ্যসচিবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্র সরকার যে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে তা নিয়ে বিরোধিতা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের দাবি শিক্ষাব্যবস্থায় গৈরিকীকরণের কথা বলা হয়েছে। তবে রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতির পুরোপুরি বিরোধিতা করেনি কখনওই। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, জাতীয় শিক্ষানীতির থেকে কেবল ভাল দিকগুলি নেওয়া হবে এবং খারাপ দিকগুলি বাদ দেওয়া হবে। সেই কারণে রাজ্য সরকার গত জুলাই মাসে জাতীয় শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল।
সেই সঙ্গে শিক্ষার উপর একটি রাজ্য-স্তরের নীতির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে বলেছিলেন, দশ সদস্যের ওই কমিটি নীতির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরই রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানাবে। কারণ, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি যুগ্ম তালিকায় রয়েছে।