Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটে জেলাপিছু ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন
Central Force in Panchayat: এক কোম্পানি সিএপিএফ-এর অর্থ ৯০ জন জওয়ান। সেক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ডিউটি করতে যাবেন ৭৫ জন। এই সংখ্যক জওয়ান দিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রের আধা সামরিক বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকে।
কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রত্যেক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জন্য। সুপ্রিম কোর্টও সেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকেই বহাল রেখেছে। এরপর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) অফিসে ব্যস্ততা চোখে পড়েছিল। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলে। মাঝে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছিল, প্রতিটি জেলার জন্য ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত, তা আরও কমল। প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হল কমিশনের তরফে। জেলাপিছু ১ কোম্পানি সিএপিএফ চাওয়া হয়েছে এবং সেই মর্মে রিকুইজিশনও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এক কোম্পানি সিএপিএফ-এর অর্থ ৯০ জন জওয়ান। সেক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ডিউটি করতে যাবেন ৭৫ জন। এই সংখ্যক জওয়ান দিয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রের আধা সামরিক বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব বাহিনী অর্থাৎ রাজ্য পুলিশও থাকবে ভোটে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। পঞ্চায়েতের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার সময়েই সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রাজ্য পুলিশের উপর ভরসার কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবেই।
পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতেও। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য। কিন্তু কমিশন তখন বলে, তারা স্পর্শকাতর জেলা বলে কিছু চিহ্নিতই করেনি। সেই নিয়ে আবার পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে যায় কমিশন। তখন আদালত জানিয়ে দেয়, সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের।
এরপর সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যায় কমিশন। কমিশনের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, কোন বুথ স্পর্শকাতর, সেটি দেখা কমিশনের কাজ, কোন জেলা স্পর্শকাতর, সেটা কমিশনের এক্তিয়ার নয়। একইভাবে কমিশন শুধুমাত্র বুথেই বাহিনী দিতে পারে, গোটা রাজ্যে নয়। কিন্তু সেই বক্তব্য ধোপে টেকেনি। হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বলেন, ‘স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরতন্ত্র ও দখলদারির আরও একটি নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল কমিশন ও তৃণমূল সরকার।’ যদিও তাঁর হুঁশিয়ারি, এক কোম্পানি বাহিনী হোক বা একশো কোম্পানি বাহিনী হোক, মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।