হুগলি: দলের একাংশের বিরুদ্ধে নিয়মিত ফেসবুকে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখান মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক তিনি। সম্প্রতি আবার দলের দু’টি পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। এবার দলের একাংশের বিরুদ্ধে ‘অন্তর্ঘাত’-এর অভিযোগ সেই ফেসবুকেই। তাঁর দাবি, হুগলির ডি.এন ২ গ্রামপঞ্চায়েতের ২০৫ নম্বর বুথে টিউবয়েল চিহ্নে এক প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। যাঁকে তৃণমূলের একাংশই দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এই আসনে তৃণমূলের প্রতীক পাওয়া প্রার্থী দীপক দাসকে হারাতে এই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।
মনোরঞ্জন ব্যাপারী লিখেছেন, ‘এই কেন্দ্রে তৃণমূল দলেরই প্রতীকপ্রাপ্ত একজন প্রার্থী দীপক দাস নামে আছে। তাঁর অপরাধ তিনি বিধানসভার ভোটে দলের হয়ে খেটেছিলেন। দলকে জিততে সাহায্য করেছিলেন। সেই অপরাধে ‘দলের আরেক গ্যাং’ তাঁকে হারানোর জন্য আপ্রাণ প্রয়াস করছে। গোটা বলাগড় জুড়ে এই খেলা চলছে।’ এই প্রথমবার নয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
দিন তিনেক আগে ফেসবুকে মনোরঞ্জন ‘বলাগড়বাসী ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব’কে উদ্দেশ্য করে লেখেন, দল তাঁকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে হুগলি জেলার জ়োনাল ৬-এর নির্বাচন কমিটির সদস্য করেছে। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকও করেছে। তিনি দু’টি পদই ছাড়লেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। তবে তিনি আগে যে চাকরি করতেন সেই পেনশন এখনও পাননি বলে এই পদ থেকে সরছেন না। পেনশন পেতে শুরু করলে তাও ছাড়বেন বলে লেখেন ফেসবুকে। মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “এসব করে দল নিজের ক্ষতি করছে।”