কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Primary Education)। প্রাথমিকের ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার সকাল ১১ টায় আদালতে হাজিরা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেও কেন ভুল প্রশ্নের উত্তরদাতাদের নম্বর দেওয়া হল না, সেই মর্মে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠায় আদালত।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে মামলায় প্রশ্নপত্রতেই ভুল ছিল বলে জানা যায়। সেই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। এর আগেও ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় গাফিলতির অভিযোগে নিজের পকেট থেকে প্রত্যেক মামলাকারীকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ভুল প্রশ্নপত্রের উত্তরদাতাদের নম্বর না দেওয়ার কারণে পরবর্তী সময় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয় মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে।
সেই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই অবশ্য বিচারপতির নির্দেশে মামলাটিতে মানিক ভট্টাচার্যকে যুক্ত করা হয়। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে এতটাই বিরক্ত হন যে তাঁকে সশীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন প্রাথমিকের আইনজীবী বলেন যে মানিকবাবুকে আরেকটু সময় দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারপতি মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীর কোনও ধরনের বক্তব্যে কর্ণপাত করেননি। বস্তুত তাঁর কোনও বক্তব্যই কানে তুলতে চাননি বিচারপতি।
আরও পড়ুন: মমতার ‘গড়ে’ বিজেপির ‘তারকা প্রচারক’ শুভেন্দু, থাকবেন স্মৃতি-রূপা-লকেটরাও
কারণ এর আগেও একাধিক মামলায় পর্ষদ সভাপতির নাম একাধিকবার উঠে এসেছে। আদালত যে বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ, সেটা লুকিয়েও রাখেননি বিচারপতি। তাঁর বিরক্তি ছিল স্পষ্ট। যে কারণে পর্ষদ সভাপতির আইনজীবীর বক্তব্যে কর্ণপাত না করেই আদালত জানিয়ে দেয়, সোমবার তাঁকে হাজিরা দিতেই হবে। সকাল ১১ টার সময়ই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। সূত্র জানাচ্ছে, পর্ষদ সভাপতি সশরীরে হাজিরা দিলে তাঁকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে আদালত। কেন বারবার করে তাঁর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠে চলেছে, সেই বিষয়টি নিয়ে একটা হেস্তনেস্ত করতে চাই আদালত।