Sealdah Metro station: ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম টিকিট কেটেছিলেন তিনিই, শিয়ালদহ মেট্রো চালুর দিন বিশেষ ‘উপহার’ দিল কর্তৃপক্ষ
East West Metro: এদিন রাজীব রায় তাঁর পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দুই ছেলেকেও ধুতি, পাঞ্জাবি পরান। এক ছেলের বয়স কিছুটা কমই। তাই বাবার কোলে চড়েই ফোটো সেশনে দেখা যায় তাকে।
কলকাতা: রেলের কর্মী নন তিনি। তবু শিয়ালদহ-সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মেট্রোর উদ্বোধনে পতাকা নাড়লেন তিনিই। হাওড়া ময়দান থেকে যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বোতাম টিপে এই পথে মেট্রোর উদ্বোধন করছেন, তখন হলুদ ধুতি, লাল পাঞ্জাবিতে বাচ্চাদের নিয়ে সবুজ পতাকা নাড়ছেন রাজীব রায়। কে এই রাজীব রায়? না মেট্রো রেলের কর্মী, না কোনও রাজনৈতিক প্রভাবশালী কেউ। তবু তাঁর উপস্থিতি এদিন আলাদা করে নজর কেড়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজীব রায় সেই ব্যক্তি, যিনি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম টিকিটটি কেটেছিলেন। দু’বছর আগে যখন সল্টলেক থেকে ফুলবাগান অবধি মেট্রো চালু হয়, রাজীব রায়ই প্রথম যাত্রী যিনি টিকিট কাটেন। এই রুটে প্রথম টিকিট কাটার জন্য এদিন এই ‘উপহার’ পেলেন তিনি। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এই উপহার দিল তাঁকে। এমন সুযোগ পেয়ে উৎফুল্ল রাজীববাবু।
এদিন রাজীব রায় তাঁর পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দুই ছেলেকেও ধুতি, পাঞ্জাবি পরান। এক ছেলের বয়স কিছুটা কমই। তাই বাবার কোলে চড়েই ফোটো সেশনে দেখা যায় তাকে। অন্যজন অবশ্য বাবার বুকে কাছে দাঁড়িয়েছিল। রাজীব রায় জানান, যেদিন প্রথম ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো চালু হয়, ছেলেকে স্কুলে দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় মেট্রোর সামনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে কৌতূহল বশত মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়েন তিনি। এমন দিনে যখন মেট্রো স্টেশনে এসেই গেছেন, একটা টোকেনও কেটে ফেলেন। সেই টোকেন নিয়ে উঠে পড়েন মেট্রোয়।
রাজীববাবু জানান, সেদিন সকাল সাড়ে সাতটায় টোকেন কিনেছিলেন। সে সময়ই প্রথম যাত্রী হিসাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁর নাম, ঠিকানা রেখে দেয়। এবার আরও কিছুটা পথ বাড়ল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর। এবার শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক পর্যন্ত ছুটবে। তারই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানান, এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ ভার রয়েছে তাঁরও। রাজীব জানান, ছেলেদের নিয়ে এই উপহারে তিনি আপ্লুত। রাজীব ছাড়াও আরও কয়েকজন যাত্রীকে এদিন আমন্ত্রণ জানিয়েছিল মেট্রো রেল।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ইতিহাসে তো বটেই, শহর কলকাতা ও শহরতলীর একটা বড় অংশের মানুষের কাছে সোমবার একটা তাৎপর্যপূর্ণ দিন। বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে অবশেষে শিয়ালদহ থেকে মেট্রোর চাকা গড়াল সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী পরিষেবাও শুরু হয়ে যাবে। প্রতিদিন শিয়ালদহ কিংবা বিধাননগর রেল স্টেশনে নেমে কয়েক হাজার ছেলে মেয়ে সল্টলেট তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে যান। এতদিন বাস, অটো কিংবা ক্যাবই ছিল ভরসা। এবার তাতে যুক্ত হল মেট্রো পরিষেবা।