Dengue Death: দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গির বলি প্রৌঢ়া, বাড়ছে দাপট, সতর্ক হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের
Dengue: স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে বেশিরভাগ বাড়িতেই ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছেন। তাঁরাই জানান, কারও কারও অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে।
কলকাতা: পুজোর মুখে বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। কলকাতা, সংলগ্ন জেলা হাওড়া-হুগলিতেও ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। গত সপ্তাহেই দুই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এবার দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গির বলি হলেন এক মহিলা। হরিদেবপুর এলাকার ব্যানার্জি পাড়ার বাসিন্দা শর্মিলা চট্টোপাধ্যায় (৫২) ডেঙ্গিতে মারা যান বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে বেশিরভাগ বাড়িতেই ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছেন। তাঁরাই জানান, কারও কারও অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এলাকার ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। পুরকর্তৃপক্ষের তরফে সপ্তাহে একদিন ব্লিচিং ছড়ানো অবধিই দায়িত্ব বলে দাবি করেন এলাকার লোকজনের একাংশ।
যিনি মারা গিয়েছেন, সেই শর্মিলা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে কিছুটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা আবর্জনার স্তূপ বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না, বলছেন পড়শিরাই। তাঁদের অভিযোগ, বহুবার বলাও সত্ত্বেও ওই খালি জমি পরিষ্কারের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয় না। সেই নোংরা ফেলার জায়গা মশার আঁতুরঘর।
এ প্রসঙ্গে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১৩ নম্বর বরো চেয়ারম্যান রত্না শূর বলেন, “বেশ কিছু এলাকায় ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। অনেকে হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করার। আমরা পুরনিগমের তরফে সমস্তরকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে এটাও ঠিক ডেঙ্গির একটা ভয়াবহ চেহারা নজরে আসছে।”
ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে বলছেন তাঁরা। কোনওভাবেই ঘরে বা ঘরের আশেপাশে জমা জল রাখতে বারণ করছেন। আবর্জনামুক্ত চারপাশ রাখার কথাও বলছেন তাঁরা। একইসঙ্গে শারীরিক কিছু বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। যেহেতু সাধারণ ফ্লুয়ের সঙ্গে ডেঙ্গির জ্বর আলাদা করাটা খালি চোখে কঠিন, তাই জ্বর এলে নমুনা পরীক্ষার কথা বলছেন তাঁরা। ডেঙ্গির জ্বর ৩ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে সপ্তাহ ঘুরলে ডেঙ্গির উপসর্গগুলিও প্রকট হতে শুরু করে। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ল প্লেটলেট কাউন্ট নিয়মিত করানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের। কারণ, ডেঙ্গির ক্ষেত্রে এই প্লেটলেটের উপরই জীবনমরণ।