SSC Upper Primary: নিয়োগ দুর্নীতির কোর্টকাছারিতে ক্লান্ত কমিশন, উচ্চ প্রাথমিকে স্বচ্ছ নিয়োগে বড় পরিকল্পনা…
SSC: এই আপার প্রাইমারি বা উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়েও আদালতে অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ে। সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির (SSC) একাধিক নিয়োগ নিয়ে এই মুহূর্তে আদালতে মামলা চলছে। প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রেই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক মামলার তদন্ত বা অনুসন্ধান করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। এরইমধ্যে সূত্রের খবর, এসএসসির আপার প্রাইমারিতে স্বচ্ছ নিয়োগ নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কমিশন। সূত্রের দাবি, সিদ্ধার্থ মজুমদার কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার পর চেয়েছেন, অন্তত একটা নিয়োগ যাতে দুর্নীতির অভিযোগমুক্ত হয়। এই মুহূর্তে তিনি ‘পদত্যাগী চেয়ারম্যান’। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি বলেই কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। এরইমধ্যে খবর, এসএসসির এখন পাখির চোখ আপার প্রাইমারিতে স্বচ্ছ নিয়োগ। কারও মনে এই নিয়োগ নিয়ে যাতে প্রশ্ন তৈরি না হয় সে কারণে নথি আপলোড ও নথি যাচাই বা ভেরিফিকেশনের জন্য নতুন পোর্টাল খুলতে চায় এসএসসি। শোনা যাচ্ছে, এই আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে তারা। যেহেতু তারা বিভিন্ন আইনি জটিলতার মধ্যে জড়িয়ে, তাই আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাইছে।
মূলত ২০১৬ সালে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল। আপার প্রাইমারি অর্থাৎ পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি পরীক্ষা নেয়। শূন্যপদ ১৪ হাজার ৩৩৯টি। এরমধ্যে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৩৬ জনকে। ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত ছিলেন ১২ হাজার ৭৯২ জন। এরপর টেট (TET) স্কোর ও তথ্য ঠিক মতো না থাকায় ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ২৪৭ জন। তবে এই পরীক্ষার পর ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়ায় গ্রিভান্স নথিভুক্ত প্রার্থী ছিলেন ১৮ হাজার ৩৫৬ জন। গ্রিভান্স শুনানিপর্বে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৩২৯ জন।
১০৯৮ জনকে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ তাঁরা শুধুমাত্র তাঁদের প্রাথমিক কিছু তথ্য দিয়েছিলেন। এবার এসএসসি চাইছে তাঁদের আবার অনলাইন ভেরিফিকেশন করতে। তাতে যদি কেউ যোগ্য প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হতে পারে। এই নথি জমার জন্যই নতুন পোর্টাল খোলার অনুমতি চাওয়া হতে পারে আদালতে।
এই আপার প্রাইমারি বা উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়েও আদালতে অভিযোগের পাহাড় জমা পড়ে। সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও নিয়োগ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। গত বছরের জুলাই থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। এরপর এসএসসির নিয়োগ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে সূত্রের দাবি, স্বচ্ছ নিয়োগের লক্ষ্যে এবার উচ্চ প্রাথমিককেই পাখির চোখ করছে কমিশন।