কলকাতা: ইদানিং একটা কথা ভীষণভাবে চলে, আদর্শ বলে রাজনীতিতে কিছু নেই। নিন্দুকেরা বলেন, যেখানে সুবিধা, সেখানেই ঝুঁকে পড়েন নেতারা। ডান-বাম-রাম নির্বিশেষে হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যেতে আপত্তি করে না কেউ আর। অনেকে বলেন, রাজনীতিকরা এখন অনেকটা কর্পোরেট কর্মীদের মতো। অফিস বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় পলিসি। তাতে অনায়াসে অভ্যস্তও হয়ে যান কর্মীরা। এই কিছুদিন আগেও যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে বিষোদগার করতেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এখন সেই জয়প্রকাশ তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। বর্ষীয়ান এই নেতা কী মনে করেন ‘রাজনৈতিক আদর্শ’ নিয়ে? টিভিনাইন বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, রাজনীতির সঙ্গে কর্পোরেট কালচার পুরোটা মিলে গিয়েছে এমন নয়। তবে ‘অনেকটা তেমন’।
কীরকম? জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “প্রযুক্তিগতভাবে যেখানে জীবন যাচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। একটা সিদ্ধান্ত হচ্ছে, একটা অ্যাকশন হচ্ছে, অন্যদিকে তার রিঅ্যাকশনও হচ্ছে। খুব দ্রুততার জীবন এখন।” তবে কি সত্যিই রাজনৈতিক আদর্শের জলাঞ্জলি দিচ্ছেন নেতারা? জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “তা সম্ভব না। কারণ সাধারণ মানুষের কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ। আর রাজনীতিকের পরীক্ষা তো সাধারণ মানুষের কাছেই। সম্পূর্ণ আদর্শ ভুলে গেলে গোড়ায় গলদ হয়ে যাবে। এখন পলিসিগুলোয় ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালের কাজ করে আদর্শ। তবে রাজনীতিটা এত পাওয়ারফুল হয়ে গিয়েছে, এত পয়সাকড়ি হয়ে গিয়েছে, ক্ষমতায়ন হয়েছে, তাই এসব হয়েছে। এগুলো মানতেই হবে। এগুলো হবেই।”
তা হলে কি রাজনীতিতে আদর্শকে বিজ্ঞাপন হিসাবে ধরে নিতে হবে? এক সময় কংগ্রেস, সেখান থেকে সাত বছর বিজেপির সঙ্গে সংসার, অবশেষে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উত্তর, “তা কিছুটা। আসলে আদর্শ খুব সাংঘাতিক জিনিস। তা জাগ্রত হলে খুব কষ্ট দেয়। আমার ক্ষেত্রে হয়েছে, কষ্ট দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: লকেটও কি তৃণমূলমুখী? ভিতরের খবর জানালেন জয়প্রকাশ
কলকাতা: ইদানিং একটা কথা ভীষণভাবে চলে, আদর্শ বলে রাজনীতিতে কিছু নেই। নিন্দুকেরা বলেন, যেখানে সুবিধা, সেখানেই ঝুঁকে পড়েন নেতারা। ডান-বাম-রাম নির্বিশেষে হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যেতে আপত্তি করে না কেউ আর। অনেকে বলেন, রাজনীতিকরা এখন অনেকটা কর্পোরেট কর্মীদের মতো। অফিস বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় পলিসি। তাতে অনায়াসে অভ্যস্তও হয়ে যান কর্মীরা। এই কিছুদিন আগেও যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে বিষোদগার করতেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এখন সেই জয়প্রকাশ তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। বর্ষীয়ান এই নেতা কী মনে করেন ‘রাজনৈতিক আদর্শ’ নিয়ে? টিভিনাইন বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, রাজনীতির সঙ্গে কর্পোরেট কালচার পুরোটা মিলে গিয়েছে এমন নয়। তবে ‘অনেকটা তেমন’।
কীরকম? জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “প্রযুক্তিগতভাবে যেখানে জীবন যাচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। একটা সিদ্ধান্ত হচ্ছে, একটা অ্যাকশন হচ্ছে, অন্যদিকে তার রিঅ্যাকশনও হচ্ছে। খুব দ্রুততার জীবন এখন।” তবে কি সত্যিই রাজনৈতিক আদর্শের জলাঞ্জলি দিচ্ছেন নেতারা? জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, “তা সম্ভব না। কারণ সাধারণ মানুষের কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ। আর রাজনীতিকের পরীক্ষা তো সাধারণ মানুষের কাছেই। সম্পূর্ণ আদর্শ ভুলে গেলে গোড়ায় গলদ হয়ে যাবে। এখন পলিসিগুলোয় ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপালের কাজ করে আদর্শ। তবে রাজনীতিটা এত পাওয়ারফুল হয়ে গিয়েছে, এত পয়সাকড়ি হয়ে গিয়েছে, ক্ষমতায়ন হয়েছে, তাই এসব হয়েছে। এগুলো মানতেই হবে। এগুলো হবেই।”
তা হলে কি রাজনীতিতে আদর্শকে বিজ্ঞাপন হিসাবে ধরে নিতে হবে? এক সময় কংগ্রেস, সেখান থেকে সাত বছর বিজেপির সঙ্গে সংসার, অবশেষে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উত্তর, “তা কিছুটা। আসলে আদর্শ খুব সাংঘাতিক জিনিস। তা জাগ্রত হলে খুব কষ্ট দেয়। আমার ক্ষেত্রে হয়েছে, কষ্ট দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: লকেটও কি তৃণমূলমুখী? ভিতরের খবর জানালেন জয়প্রকাশ