DVC: ফের জল ছাড়া নিয়ে অশনি সঙ্কেত? ফের ডুবে যেতে পারে রাজ্যের বড় অংশ? কী বলছে ডিভিসি
DVC: গত বছর ঝাড়খণ্ডে শেষ পর্যায়ে গভীর নিম্নচাপ হয়। তাতে প্রবল বৃষ্টিপাতও হয়েছিল। এ কথাও এদিন ফের একবার মনে করান ডিভিসির চেয়ারম্যান। তিনি বলছেন, ওই সময় বাধ্য হয়ে তাঁদের জল ছাড়তে হয়েছিল। প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল গতবার।

কলকাতা: জল ছাড়া নিয়ে অশনি সঙ্কেত দিয়েই রাখল ডিভিসি? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আবার প্লাবিত হবে হাওড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান সহ একাধিক জায়গা? মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুর মতো বৃষ্টি হলে, শেষের দিকে বৃষ্টি বাড়লে জল ছাড়তেই হবে, তা ছাড়া আর কোনও রাস্তা খুলে থাকবে না। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়ে রাখলেন চেয়ারম্যান। স্পষ্ট বললেন, এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে প্রস্তুত থাকতে বলে দিয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ডিভিসির চেয়ারম্যান সুদেশ কুমার বলেন, গত ২৬ এপ্রিল মুখ্য সচিবের সঙ্গে এবং ২৯ মে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে এই জল ছাড়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সঙ্গে তিনি এও বলেন, রাজ্য সরকার ডিভিসির কাছে আবেদন করেছে, একবারে ৫০ হাজার কিউসেকের বেশি জল না ছাড়ার জন্য। আমরা সেটা চেষ্টা করছি। গতবার থেকেই আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যেভাবে শেষ পর্যায়ে এসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে তাতে ৫০ হাজার কিউসিকের মধ্যে জল ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কিনা সেটা আলোচনার বিষয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর ঝাড়খণ্ডে শেষ পর্যায়ে গভীর নিম্নচাপ হয়। তাতে প্রবল বৃষ্টিপাতও হয়েছিল। এ কথাও এদিন ফের একবার মনে করান ডিভিসির চেয়ারম্যান। তিনি বলছেন, ওই সময় বাধ্য হয়ে তাঁদের জল ছাড়তে হয়েছিল। প্রায় ২ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল গতবার। তা নিয়ে চাপানউতোর কম হয়নি। রাজ্য-ডিভিসি বেনজি সংঘাতের ছবিও দেখা গিয়েছিল। তাও মনে করাচ্ছে ডিভিসি। ডিভিসির চেয়ারম্যান সুদেশ কুমার বলছেন, গতবার রাজ্য সরকার বারবার আমাদের দিকে অভিযোগে নামেও তুলেছিল। কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল তাতে আমাদের জল ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। একইসঙ্গে তিনি আরও বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবার করে পলি উত্তোলনের বিষয়টি তোলেন, একেবারে ভুল সেটা বলছি না। তবে ঝাড়খন্ড প্রশাসনের সঙ্গে এই পলি উত্তোলন নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা যে রয়েছে তাও বলেন। সে কারণেইপলি উত্তোলন করা অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সঠিকভাবে পলি উত্তোলন না করায় ডিবিসির নিয়ন্ত্রণে থাকা চারটি বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা ৩৪-৩৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। এতেই বিপত্তি বাড়ছে বলেই মনে করছেন ডিভিসির চেয়ারম্যান। বর্ষা চলে যাওয়ার পর নতুন করে পলি তোলার কাজে জোর দেওয়া হবে বলে জানালেন ডিভিসির চেয়ারম্যান। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত ‘ডিভিসির জল’ কতদূর গিয়ে দাঁড়ায়।
