TMC Councillor: ‘এটা আজকের নয়, তখন আমি সবেমাত্র…’ এই বয়সেও যখন বন্ধ ঘরে চায়ের আসরের ‘পুরনো’ ভিডিয়ো ফাঁস, তখন হাউ হাউ করে কাঁদলেন TMC কাউন্সিলর
TMC Councillor: এত বয়সে এসেও তৃণমূল কাউন্সিলর তোলাবাজি করছেন! অভিযোগ তুলছেন রাজ্যের বিরোধীরা। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। ছন্দা সরকারের দাবি, এই ভিডিয়ো অনেক পুরনো। তিনি কাউন্সিলর হয়ে আসার পরপরই।
কলকাতা: বয়স তাঁর সত্তরের কোঠায়। এই বয়সেও নাকি তাঁর বিরুদ্ধে উঠছে তোলাবাজির অভিযোগ। ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। তাতে যা দেখা যাচ্ছে, তা রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে বাংলায়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ছন্দা সরকার একটি চেয়ারে বসে, উল্টোদিকে আরও বেশ কয়েক জন। একটি ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য টাকা চাইতে দেখা যাচ্ছে কাউন্সিলরকে। ৮০ টাকা স্কোয়ার ফুট। মোট ১ লক্ষ টাকা। ভিডিয়োতে ছন্দা সরকারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমাকে ১ লাখ দিলেই হবে…’ এবার সেই ভিডিয়ো নিয়েই বিস্ফোরক ছন্দা সরকার।
তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান !!! দুর্নীতি এবং এদের নেতা নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসভার আরও এক “স্কোয়ার ফুট (square foot) কাউন্সিলর” কে চিনে রাখুন।
১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর; শ্রীমতি ছন্দা সরকার এক প্রোমোটার এর সাথে রফা করছেন:- pic.twitter.com/1YdYX9AZXx
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) September 27, 2024
এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই TV9 বাংলার প্রতিনিধি গিয়েছিলেন ছন্দা সরকারের বাড়িতে। তিনি বললেন, “আমি জানি না, ৮০ টাকা স্কোয়ার ফিট, ১০০ টাকা স্কোয়ার ফিট।” হাত জোড় করে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন ছন্দা। তিনি বললেন, “বিশ্বাস করুন, আমি কোনও একটা প্রোগ্রাম করতে গেলে পেনশনের টাকা তুলে করি। আমার পেনশনের টাকা যেটা জমে, ২-৩ মাসে সেটা তুলে করি। আমি কোনও দিন কারোর টাকা হাতে নিইনি।”
এত বয়সে এসেও তৃণমূল কাউন্সিলর তোলাবাজি করছেন! অভিযোগ তুলছেন রাজ্যের বিরোধীরা। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। ছন্দা সরকারের দাবি, এই ভিডিয়ো অনেক পুরনো। তিনি কাউন্সিলর হয়ে আসার পরপরই। তিনি বললেন, “আজ যেটা রটেছে, যারা করেছে, আমি কাউন্সিলর হওয়ার পরে পরে, ৭-৮ মাসের মধ্যে। আমি বুঝিনি ওরা এসব করতে পারে। কিন্তু তিলক আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, তিলক ভট্টাচার্য আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিল, যে ওরা এটা এমন এমন করেছে। তখন আমি বলি, তাই আমি তো বুঝতেই পারি নি, তখন ও আবার ওকে ধরে বলল, যে করেছে আরকী! আমি তো কোনও টাকাই নিইনি। ও টাকা নিয়েছে। তিলক আমাদের দলেরই ছেলে। বাচ্চু যখন ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল, তখন সে সময়ে তৃণমূলের যুব প্রেসিডেন্ট ছিল তিলক। এখন বাচ্চু ১২৬-এ রয়েছে।”
তিলক ভট্টাচার্য় নামে এক জনের নাম বলেছেন ছন্দা সরকার। তিনি বলেন, “আজ ওরাই আমাদের পিছন থেকে ছুরি মারছে। কেন মারছে, কারণ আমি ওদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গেছি তাই।”
যদিও ছন্দা সরকারকে দুষেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা এতটাই হাস্যকর, আর কিছু বলবার নেই। ছন্দা সরকার যদি টাকা না নিয়ে থাকেন, তাহলে প্রয়োজন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে দেওয়া। ইজ্জত না থাকলে ইজ্জত নিয়ে টানবে কোথায়?”