কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এতদিনে সবথেকে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ২০১৬ সালের প্যানেলের (2016 Primary Panel) ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। নিয়োগের ইন্টারভিউতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জোর শোরগোল রাজ্যজুড়ে। ‘অকারণে জেদাজেদি করতে গিয়ে যেন কেউ বলি না হয়ে যায়।’ নির্দেশ সামনে আসতেই বললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন কুণাল বলেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চিতভাবে হোক এটা তো সবসময় বলে আসছি। যাঁরা যোগ্য তাঁরা চাকরি করবেন। আমাদের দেখে নিতে হবে অকারণে জেদাজেদি করতে গিয়ে যেন কেউ বলি না হয়ে যায়। কোনও আদালত যদি কোনও রায় দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর, তাঁদের আইনজীবীরা খতিয়ে দেখবেন গোটা বিষয়টি। এই মুহূর্তে রায়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের তরফে কোনও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানানোর অবকাশ নেই।”
প্রতিক্রিয়া এসেছে বামেদের থেকে। কুণালের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, উনি তৃণমূলের মুখপাত্র বটে কিন্তু, আজ যা বলছেন দুদিন পরে অন্য কথা বলতে পারেন। টাকার বিনিময়ে এখানে খেলা হয়েছে। ৩ কে ৩৩ করা হয়েছে। প্রশিক্ষিণহীনদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আমি সেদিনও বলেছিলাম অবশ্যই যেন ওয়েবসাইটে স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “যেভাবে ইচ্ছামতো নিয়োগ করা হয়েছে, টাকার লেনদেন হয়েছে তা খুবই লজ্জার বিষয়। এই সরকারের সমস্ত ডিপার্টমেন্ট আইনের বাইরে কাজ করেছে। সরকার সব অনৈতিক কাজ করছে। যা মোটেই সমাজ ও আইনের পক্ষে ঠিক নয়। যেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন বিচারপতি।” তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “এটাকে দুর্নীতির ভূমিকম্প বলা যেতে পারে। জানি না এর শেষ কোথায়। আমরা প্রথম থেকে একটা কথাই বলে আসছিলাম যে যা দেখছেন তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।”