Dilip-Kunal: ‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে’, সুকান্ত অসুস্থ হতেই ফুঁসছেন দিলীপ, ‘সব নাটক’, খোঁচা কুণালের
Dilip-Kunal: সুকান্তর অসুস্থতা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শান্তনু সেনের মতো তাঁরও দাবি, সবটাই নাটক। বলেন, “আন্দোলন থেকে পালাতে নাটক করছেন। আসলে আন্দোলন করা অভ্যাস নেই। নাদুস-নুদুস চেহারা নিয়ে গাড়ির মাথায় লাফালেন। তারপর শুয়ে পড়লেন।”
কলকাতা: ফুঁসছে সন্দেশখালি। ফের নতুন করে একাধিক প্রান্তে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশাসনের উপর নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবির। একদিন আগেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। কিন্তু, পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এদিকে মঙ্গলবার আবার বসিরহাটে এসপি অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। নেতৃত্বে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আটক করা হয় বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে। এদিকে সরস্বতী পুজোর সকালেই সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্ত। কিন্তু, টাকিতে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। গাড়ির বোনেটে উঠে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত। তখনই ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান। চিকিৎসার জন্য তাঁকে আনা হয় কলকাতায়। এবার এই ইস্যুতেই ফেটে পড়লেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
পরিস্থিতি ক্রমেই আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন দিলীপ। স্পষ্টই বলছেন, “আমার তো মনে হয় এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। গোটা বাংলাতেই ছড়িয়ে পড়বে বিক্ষোভ। সাধারণ মানুষ অত্যাচার সহ্য করতে করতে শেষ সীমায় পৌঁছেছেন। মহিলারা বেরিয়ে আসছেন। তাঁদের অত্যাচারের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিচ্ছেন তা কোনও সভ্য জগতে হয় না। স্বাভাবিকভাবে বিরোধী পার্টির নেতা হিসাবে সুকান্তবাবুর দায়িত্ব মানুষের হয়ে আওয়াজ তোলা। পুলিশ আটকাতে থাকলে এ ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বারবার হবে।”
এখানেই না থেমে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। বলেন, “পুলিশ শুধু আন্দোলন আটকাতে চাইছে। বিরোধী নেতাদের আক্রমণ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন গ্রেফতার করা হয়েছে। কাদের গ্রেফতার করছেন? যাঁরা প্রতিবাদ করছে তাঁদের গ্রেফতার করছেন, বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করছেন। এটা পুলিশের কাজ নাকি? যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর, যাঁদের ধরার জন্য সিবিআই ইডি লেগেছে তাঁদের পুলিশ শেল্টার দিচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে গিয়ে প্রতিবাদীদের বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে।”
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সুকান্তর অসুস্থতা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শান্তনু সেনের মতো তাঁরও দাবি, সবটাই নাটক। বলেন, “আন্দোলন থেকে পালাতে নাটক করছেন। আসলে আন্দোলন করা অভ্যাস নেই। নাদুস-নুদুস চেহারা নিয়ে গাড়ির মাথায় লাফালেন। তারপর শুয়ে পড়লেন।”