কলকাতা: প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ সেল ওয়ার্ড। সেখানেই রয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। রয়েছেন আরও এক প্রাক্তন মন্ত্রী। রয়েছেন আরও দুই বিধায়ক। সব মিলিয়ে চার জন বিধায়ক। এদিকে বিশ্বকাপ ম্যাচের জন্য ২৯৩ বিধায়কের টিকিট এসেছে বিধানসভায়। তাহলে এই চার বিধায়কদের টিকিট কোথায় গেল? কি হচ্ছে সেই সব টিকিটের ভবিষ্যৎ? তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই ঘুরছে নানা প্রশ্ন। নষ্ট হচ্ছে চার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য আর জীবনকৃষ্ণ সাহার টিকিট? এই প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, এটা তো দীর্ঘ দিন ফেলে রাখার জিনিস নয়। ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে এর আর গুরুত্ব থাকে না। সে কারণে ম্যাচ শুরু এক – দেড় ঘণ্টা আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছে। তারপরেও ওই কেউ না এলে ওই সময় যিনি টিকিটের আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাঁকেই (কোনও বিধায়ক হতে পারেন, কিংবা বিধানসভার বিভিন্ন স্তরে থাকা কোনও কর্মী হতে পারেন অথবা বিধানসভা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকা কেউ হতে পারেন) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার ইডেন্স গার্ডেন্সে ভারতীয় টিমের ম্যাচ দেখার জন্য বিধায়কদের টিকিট দিতে আগেই সিএবি-র কাছে চিঠি লিখেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, বিধানসভার ২৯৩ জন বিধায়ককে অন্তত একটি করে টিকিট হোক। সেই দাবিই জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তড়িঘড়ি আসে টিকিট। প্রত্যেক বিধায়ক পিছু একটি করে কমপ্লিমেন্টারি টিকিট এসে যায়। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালও রয়েছে ইডেনে। সেই টিকিটও পাচ্ছেন বিধায়করা। আগে দেওয়া হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট।