‘দিয়ে দেব! কথাটির কোনও যুক্তি নেই, কেন এখনও টাকা দেননি?’ অসন্তুষ্ট হয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতির
High Court: করোনায় সামনের সারির যোদ্ধারা করোনা আক্রান্ত হলে বা তাঁদের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মামলা হয় হাইকোর্টে।
কলকাতা: করোনায় সামনের সারির যোদ্ধাদের কেন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন করল হাইকোর্ট। কত জন ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছে, কত জন ক্ষতিপূরণ পেয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যহীনদের বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। ১২ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। আজ সেই মামলার শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চে। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কোভিডে সামনের সারিতে যারা আছেন তাঁরা কেন ক্ষতিপূরণ পাননি, তা জানতে চায় আদালত। রাজ্যের তরফে এ দিন জানানো হয় কোভিডে মৃত বা আক্রান্তদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্যের এই উত্তরে অসন্তুষ্ট হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘দিয়ে দেব, এই কথার কোনও যুক্তি নেই। কেন দেন নি এখনও টাকা?’
রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বাস ড্রাইভার, কন্ডাক্টর সহও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার বা সামনের সারির যোদ্ধারা করোনা আক্রান্ত হলে ১ লক্ষ টাকা ও মৃত্যু হলে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই মোতাবেক এখনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়ে আদালতে। করোনা সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি পর্বে এমনটাই অভিযোগ করেন জোভেরিয়া শাব্বা নামে এক আইনজীবী। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেই সমস্ত পরিবারগুলি আবেদন করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণ মেলেনি বলে জানান তিনি।
রাজ্য সরকারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এ দিন নির্দেশ দেওয়া হয়, এই ধরনের আবেদন কতজন করেছে এবং কতজনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তার একটি তালিকা আদালতে জমা করতে হবে। এ ছাড়াও ‘যারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন, মানসিক ভারসাম্যহীন তাঁদের ভ্যকসিন দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা কেন করেনি কেন্দ্র ও রাজ্য? তাদের দুয়ারে ভ্যাকসিনে ব্যবস্থা করা হোক’, এই আর্জি নিয়ে আরেকটি মামলা করেন আইনজীবী শুভ্র প্রকাশ লাহিড়ি। তাদের বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য কী ভাবছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আরও পড়ুন: আজকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস নতুন করে ভয় ধরাল! বানভাসি এলাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও