Kolkata municipal corporation: কেন ক্লাবগুলি থেকে পুরসভা অর্থ তুলছে না? ববির সামনেই প্রশ্ন TMC কাউন্সিলরের
Kolkata: বিশ্বরূপের এই বক্তব্যের পর পাল্টা তার উত্তর দিতে ওঠেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন, কলকাতা পুরসভা নিজের অর্থভাণ্ডার ক্ষতি করেই পুজোর যাবতীয় কাজ করেছে শহর জুড়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে, এই উৎসবকে বৃহত্তর আকারে তুলে ধরতে।

কলকাতা: শহরজুড়ে গুচ্ছ-গুচ্ছ হোডিং। বিজ্ঞাপনের পোস্টার ও ব্যানার। এগুলি থেকে টাকা আদায় করে ক্লাব। তবে পুরসভার কোনও লাভই হচ্ছে না। এই নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন কলকাতা পুরসভার আটচল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। বুধবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে তাঁর অভিযোগ, কলকাতা শহর জুড়ে গুচ্ছগুচ্ছ হোর্ডিং বোর্ড রয়েছে। এগুলি দিয়ে ব্যবসা করে খাচ্ছে একাধিক ক্লাব। কিন্তু এই হোডিং বোর্ড ব্যবসা থেকে কলকাতা পুরসভা কোন টাকা উপার্জন করতে পারছে না কেন? এই ধরনের হোর্ডিং বোর্ড থেকে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal) টাকার উৎস কী? কলকাতা পুরসভার বর্তমানে যে আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে এই পুজো উদ্যোক্তা বা ক্লাবগুলি থেকে কেন পৌরসভা কোনও অর্থ আদায় করছে না? প্রশ্ন তুলেছেন কাউন্সিলর।
বিশ্বরূপের এই বক্তব্যের পর পাল্টা তার উত্তর দিতে ওঠেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন, কলকাতা পুরসভা নিজের অর্থভাণ্ডার ক্ষতি করেই পুজোর যাবতীয় কাজ করেছে শহর জুড়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে, এই উৎসবকে বৃহত্তর আকারে তুলে ধরতে হবে। ক্লাবগুলি বা পুজো উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ রয়েছে কলকাতা পুরসভার। তাই এক্ষেত্রে কোনও অর্থ নেওয়া সম্ভব নয়। তবে তৃণমূল কাউন্সিলরের এভাবে প্রকাশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ায় শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে অর্থ সঙ্কটে ভুগছে কলকাতা পুরসভা। সেখানে তৃণমূলেরই একজন কাউন্সিলর এভাবে প্রকাশ্যে পুজোগুলিকে দেওয়া পুরসভার আর্থিক সুবিধা নিয়ে যে প্রশ্ন তুললেন, তাতে কিছুটা হতভম্ব হয়ে যান কলকাতার মেয়রও বলে মত রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের। মুখ্যমন্ত্রী বছর খানেক ধরেই কলকাতা পুরসভাকে হোর্ডিং বোর্ড বাবদ কোনও খরচ পুজো কমিটি গুলি থেকে নিতে নিষেধ করেছেন। এমনকী, এও নির্দেশ দিয়েছেন, পুজো কমিটি গুলোর পাশে থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবা দিতে।
অধিবেশন শেষে বিশ্বরূপ দে বলেন, “আমি ভুল কিছু বলিনি। ক্লাবগুলি ব্যবসা করবে। পুজো কমিটিগুলো ব্যবসা করবে। অথচ কলকাতা পুরসভা কোনও অর্থ পাবে না এটা হওয়া উচিত নয়।” বর্তমানে কলকাতা পুরসভা যে পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে, তাতে অর্থ আদায়ের উৎসগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেই বিশ্বরূপ দিয়ে দিন মনে করেছেন।কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের একাংশের কথায়, অর্থের দৈন্যদশা নিয়ে যে বক্তব্য তারা প্রকাশ্যে বলতে পারেন না, সেই সুর এদিন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের গলাতেই।
