AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jyoti Basu: ‘তাঁর অভাব চিরকালই দেখা যাবে..’, ৮ জুলাই তৃণমূল এক্বেবারে ‘জ্যোর্তিময়’!

Jyoti Basu: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানাবেন, এটার মধ্যে আশ্চর্যের কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছর এই সৌজন্য বজায় রেখেছেন। এমনকি জ্যোতি বসু বেঁচে থাকা অবস্থায় ইন্দিরা ভবনেও গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Jyoti Basu: ‘তাঁর অভাব চিরকালই দেখা যাবে..’, ৮ জুলাই তৃণমূল এক্বেবারে ‘জ্যোর্তিময়’!
কেন এত ঘটা করে জন্মদিন পালন? Image Credit: Social Media
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2025 | 8:12 PM
Share

কলকাতা: ৮ জুলাই, দুই অতি পরিচিত এবং বিখ্যাত বাঙালির জন্মদিন। একজন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আরেক জন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। অনান্য বছরও এই দিনটায় প্রয়াত জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন তাঁর ভক্তরা। তাঁর পার্টি এবং রাজ্য সরকার। কারণ তিনি এই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভাতেও হল জ্যোতি স্মরণ। কিন্তু এবার যেন চেনা ছকটা অনেকটাই বদলে গেল। জ্যোতি বসুর জন্মদিনে শুভেচ্ছার পালা যেন বন্যার আকার নিয়েছে। কিন্তু শুধুই কি শ্রদ্ধা? নাকি পেছনে আছে রাজনীতির গভীর অঙ্ক?

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানাবেন, এটার মধ্যে আশ্চর্যের কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবছর এই সৌজন্য বজায় রেখেছেন। এমনকি জ্যোতি বসু বেঁচে থাকা অবস্থায় ইন্দিরা ভবনেও গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্নটা জাগছে, তৃণমূল ও বিজেপির অন্য নেতাদের ভূমিকা দেখে। যে নেতারা বছরের বাকি সময় বাম জমানার শাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারাই জ্যোতি বসু নিয়ে ধন্য ধন্য করছেন কেন? 

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ, কেউ বলছেন বাঙালির গর্ব , আবার কেউ শেয়ার করেছেন জ্যোতি বসুর সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসে একাধিকবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কথা বলেছেন শমীক ভট্টাচার্যও। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল তো ভোটের সহজ অঙ্ক দেখেছে! 

কিন্তু ভোটের পাটিগণিতে বিজেপিকে ফাঁকা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার রিস্কটা তৃণমূলও ছেড়ে দিতে নারাজ? অঙ্কটা সোজা। রাজ্য বিজেপির উত্থানের কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করেন বাম ভোট রামে গেছে। চব্বিশের লোকসভা ভোটেও নয় নয় করেও ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে বামেরা। সেই ভোটের কিছুটা নিজেদের দিকে টানতে পারলে মন্দ কি? প্রশ্নটা এখানেই, যারা রোজ বামেদের শূন্য, শূন্য বলে আওয়াজ দেয় তারা কি শূন্যের পিছনে ধাওয়া করছে?  বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় যদিও বলছেন, “জ্যোতি বসুর অভাব চিরকালই দেখা যাবে। তিনি যেভাবে সিপিএম-কে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিলেন সেরকম কোনও নেতা আর চোখে পড়েল না।” তবে ব্রাত্য আবার হাঁটছেন একটু অন্য লাইনে। বলছেন, মৃত্যুর পর তো সব ভালই হয়ে যায়। তাঁর কথায়, “আমি যতদূর জানি বঙ্গ জীবনে যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁদের রাজনীতি চলাকালীন সারাজীবন তাঁদের দংশনে জ্বলতে হয়। মৃত্যুর পরে সবাই ভাল হয়ে যায়।”