Khela Hobe Slogan: জাতীয় স্তরে কতজন বাঙালি খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে? তাও কেন খেলা হবে স্লোগান? বিধানসভায় ক্রীড়ামন্ত্রীকে তোপ শঙ্করের
Khela Hobe Slogan: চুপ থাকেননি অরূপও। দুই শিবিরের দুই নেতার তরজায় এদিন দীর্ঘক্ষণ সরগরম হয়ে রইল বিধানসভা। তুলে ধরেন খতিয়ান। চলতি বছরে বাংলায় যে ট্রফি এসেছে তা জোরের সঙ্গেই বলেন।

কলকাতা: শিলিগুড়িতে রাজ্যের থেকে জমি নিয়েছে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তৈরির কথা ছিল স্টেডিয়ামের। কিন্তু, কেন কাজ হচ্ছে না, এদিন বিধানসভায় সেই প্রশ্ন তুললেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পাল্টা সুর চড়ালেন উত্তরের পদ্ম বিধায়ক তথা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। পাল্টা তৃণমূলের স্লোগান নিয়ে একহাত নিতে দেখা গেল তাঁকে। শাসক দলের স্লোগান খেলা হবে! জাতীয় স্তরে কতজন বাঙালি খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে? তাও কেন খেলা হবে স্লোগান? বিধানসভায় জোরাল প্রশ্ন শঙ্করের।
তবে চুপ থাকেননি অরূপও। দুই শিবিরের দুই নেতার তরজায় এদিন দীর্ঘক্ষণ সরগরম হয়ে রইল বিধানসভা। তুলে ধরেন খতিয়ান। চলতি বছরে বাংলায় যে ট্রফি এসেছে তা জোরের সঙ্গেই বলেন। একইসঙ্গে কল্যাণ চৌবের প্রসঙ্গ টেনে তোপও দাগেন। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে অরূপ বলেন, “চলতি বছরের সর্বভারতীয় বিভিন্ন ফুটবল টুনামেন্টের সব ট্রফি বাংলায় এসেছে। সব ট্রফি নাম করে কারা জিতেছেন তালিকা দিয়ে অরূপ বলেন আপনি সিলকেশনের কথা বলছেন। আর এআইএফএফ এর প্রেসিডেন্ট কে? কোন রাজনৈতিক দল করে? কতবার হেরেছেন? বঞ্চনাটা সেখান থেকেই শুরু।” এখানেই না থেমে ভোটের উত্তাপ আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়ে অরূপকে বলতে শোনা যায়, “খেলা জারি আছে। খেলা হবে। ২০২৬ সালে খেলা হবে।”
সোজা কথায়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা বনাম বাংলার ক্রীড়ান্নোতি— দুই নেতার এই তরজা নিয়ে এখন পুরোদমে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলেও। শঙ্কর যদিও বলছেন, “আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনারা বারবার খেলা হবে বলেন, কিন্তু খেলাটা কোথায় হচ্ছে? ভারতীয় ফুটবল থেকে ক্রিকেট দলে কতজন বাঙালি খেলোয়াড় রয়েছে? সঙ্গে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনারা যে নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড়দের সোনার চেন উপহার দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে কতজন বাঙালি খেলোয়াড় রয়েছে? মোহনবাগান শিল্ড জিতছে, কিন্তু সেখানেই বা কতজন বাঙালি খেলোয়াড় রয়েছে? মন্ত্রীরা তো বাংলার সাফল্যের কাহিনী শোনান, কিন্তু তথ্য দিয়ে জাননা কতজন বাঙালি খেলোয়াড় রয়েছে!” শঙ্করের দাবি, প্রশ্ন শুনে চটে গিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তারপর অরূপ কী বলেছেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শঙ্করের খোঁচা, “স্লোগান দিলেই তো হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।”
