AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Election Commission of India: অফিসারদের বরখাস্ত করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

Election Commission of India: নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “সরকারী কর্মচারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কালকে আমার ২ অফিসারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কি না, তাঁদের সাসপেন্ড করা হল। আমরা বলি, তোমার নির্বাচন এখনও ঘোষণা হয়েছে? কোন আইনের বলে তুমি নোটিস পাঠাচ্ছ? সাসপেন্ড করছ। আর বলে দিচ্ছ, এফআইআর করতে হবে। হবে না। আমি কারও পানিশমেন্ট হতে দেব না।

Election Commission of India: অফিসারদের বরখাস্ত করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন
মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠাল নির্বাচন কমিশনImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2025 | 6:51 PM
Share

কলকাতা: ফের নবান্নের সঙ্গে সংঘাত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য মুখ্যসচিবকে কমিশন সুপারিশ করেছিল। বরখাস্ত এবং এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কেন কার্যকর করা হয়নি, তা নিয়ে নবান্নের বক্তব্য জানতে চাওয়া হল। দ্রুত ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলা হল। এবং সোমবার তিনটের মধ্যে এই নিয়ে উত্তর দিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বার্তা দিল কমিশন।

ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার AERO তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের AERO সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কমিশনের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ২ দিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রামে এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সরকারি অফিসারদের বলব নিশ্চিন্তে থাকবেন। আমরা আপনাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব।

নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে মমতা বলেছিলেন, “সরকারী কর্মচারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কালকে আমার ২ অফিসারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কি না, তাঁদের সাসপেন্ড করা হল। আমরা বলি, তোমার নির্বাচন এখনও ঘোষণা হয়েছে? কোন আইনের বলে তুমি নোটিস পাঠাচ্ছ? সাসপেন্ড করছ। আর বলে দিচ্ছ, এফআইআর করতে হবে। হবে না। আমি কারও পানিশমেন্ট হতে দেব না। এটা মাথায় রাখবেন।” নির্বাচন কমিশনকে হরিদাস, ক্রীতদাস বলেও তিনি আক্রমণ শানিয়েছিলেন।

এদিন নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিজেপির কথা ও ইশারায় কাজ করছে কমিশন।”

মুখ্যসচিবকে পাঠানো নির্বাচন কমিশনের চিঠি

মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যখন কমিশনকে তোপ দাগছেন, তখন ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠাল কমিশন। ওই অফিসারকে বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে এখনও কোনও চিঠি কমিশন পায়নি। দ্রুত ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলা হয়। একইসঙ্গে সোমবার বিকেল ৩ টার মধ্যে এই নিয়ে কমিশনকে চিঠি দিতে বলা হল মুখ্যসচিবকে। এখন দেখার, এই চিঠির কী জবাব দেন মুখ্যসচিব।