Kolkata Metro: আচমকা কেন ফাটল নিউ গড়িয়া মেট্রো স্টেশনে? আসলেই দায় কার?
Kolkata Metro: গোলযোগের দিকে ইঙ্গিত করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন এবং ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের অধ্যাপক তথা নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস। তিনি বলছেন, “নকশার ক্রুটিতে এই ধরনের ফাটল হয়।

কলকাতা: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন। আপ লাইনে প্ল্যাটফর্মের উপর চারটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। সবগুলিই আবার প্ল্যাটফর্মের উপরে। সে কারণেই যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্টেশন পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো বলছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্ল্যাটফর্মের মাটি নরম হয়ে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। যদিও চাপানউতোর থামছে না। কেন এভাবে মেট্রো স্তম্ভে ফাটল, কোথায় নজরদারির ত্রুটি, কেন এই স্তম্ভ গুলি মাটি দুর্বলতার জন্য বসে যাচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে গোলযোগের দিকে ইঙ্গিত করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন এবং ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের অধ্যাপক তথা নির্মাণ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম বিশ্বাস। তিনি বলছেন, “নকশার ক্রুটিতে এই ধরনের ফাটল হয়। যদিও ১৫ বছর পর হচ্ছে বলে এই তত্ত্ব বাতিল করা হচ্ছে। নির্মাণ সামগ্রীর মান, নির্মাণ পদ্ধতি এখন প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফাটল দেখে মনে হচ্ছে পিলারগুলি বসে যাচ্ছিল। একটা ভারবাহী স্তম্ভ আর একটার তুলনায় বেশি বা কম বসতে থাকে তখন এই ধরনের ক্র্যাক অনেক বেশি প্রত্যাশিত।” জায়গা নিচু হওয়ার ফলেও কী সমস্যা হতে পারে? পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলছেন, নিচু জায়গায় যে ধরনের কংক্রিটের স্ট্রাকচার তৈরি করা উচিত সেটা যদি না করা হয়ে থাকে তাহলে এ ধরনের ফাটল হতে পারে।
যাত্রীরা যে চরম দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছেন তা কার্যত পরিষ্কার। এক যাত্রী বলছেন, “আমরা তো এদিক থেকে নিত্য যাতায়াত করি। এছাড়া তো আর কোনও উপায় নেই। এখন শদিহ ক্ষদিরাম থেকে মেট্রো ধরা ছাড়া কোনও উপায় নেই।” আর এক যাত্রী বলছেন, “বহু মানুষকেই এবার ব্রেক জার্নি করতে হবে। এরফলে যানজটও তৈরি হচ্ছে।”
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ যদিও বলছেন দায় কেন্দ্রের। প্রশ্ন তুলছেন রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। মেট্রোর বিরুদ্ধে সুর খানিক চড়িয়ে তিনি বলছেন, “কলকাতা মেট্রো সবথেকে পুরনো। তাই এর সংরক্ষণ থেকে রক্ষাণাবেক্ষণের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু যতটা যত্ন নেওয়া উচিত ততটা মেট্রো রেল বা কেন্দ্র সরকার নিচ্ছে না।”
