Sandip Ghosh: ‘সন্দীপ তুমি রেপিস্ট’, শুনানি শেষে ‘হেফাজতে’ নিয়ে ‘স্পেশ্যাল ট্রিটমেন্ট’ দিয়ে দিলেন মহিলা আইনজীবীরা
Sandip Ghosh: সন্দীপকে আদালতকক্ষ থেকে বের করা যাবে না, দাবি করতে থাকেন অনেক আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় বিচারককেও। তিনি নিজে এসে আন্দোলনকারী আইনজীবীদের বোঝাতে শুরু করেন।
কলকাতা: শুনানি শেষ হতেই একেবারে তুলকালাম কাণ্ড। এজলাস থেকে বেরোতে গিয়ে মহিলা আইনজীবীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষকে। শুনানি শেষেই আদালত কক্ষের ভিতরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। ‘তিলোত্তমার রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ। We Want Justice’ ‘কালপ্রিট সন্দীপ ঘোষ নিপাত যাক’ লাগাতার এই সব স্লোগান উঠতে থাকে সন্দীপের সামনে। সূত্রের খবর, অবস্থা দেখে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নেন সন্দীপ। ততক্ষণে ‘সন্দীপ তুমি ধর্ষক। You are a Rapist।’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। চোর চোর ডাকও শোনা যায়।
আদালত কক্ষে মহিলা আইনজীবীদের একাংশের স্পষ্ট দাবি, সন্দীপকে কোনও স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, এদিন শুনানিতে সন্দীপকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। কারণ হিসাবে বলা হয়, ইতিমধ্যেই এই ডিজিটাল এভিডেন্স ক্লোনিং করার আবেদন করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। শেষ পর্যন্ত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ-সহ ৪ জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, নির্দেশ দিয়ে বিচারক নেমে যাওয়ার পর শুরু হয়ে যায় স্লোগানিং। ‘সন্দীপ ঘোষের ফাঁসি চাই, We want justice, We demand justice’ মতো স্লোগানও উঠতে থাকে লাগাতার।
সন্দীপকে আদালতকক্ষ থেকে বের করা যাবে না, দাবি করতে থাকেন অনেক আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় বিচারককেও। তিনি নিজে এসে আন্দোলনকারী আইনজীবীদের বোঝাতে শুরু করেন। প্রয়োজনে এজলাস ছেড়ে বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর অনুরোধ করেন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত হয়ে ওঠে যে প্রায় একঘণ্ট ধরে বন্ধ এজলাসের দুই দরজাই বন্ধ হয়ে যায়।