আলিপুরদুয়ার: বায়ুদূষণের কারল গ্রাসে অন্যান্য প্রাণীদের পাশাপাশি হারাতে বসছে শকুনও। যা নিয়ে প্রায়শই উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় পশুপ্রেমীদের। এই শকুন রক্ষার্থেই বড় উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের তরফে। বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে মোট ৪ প্রজাতির ১৪০ টি শকুন আছে। তারমধ্যে থেকেই এবার মুক্ত আকাশে ওড়ার স্বাদ পেল ১০টি হোয়াইট ব্যাকড শকুন। বর্তমানে এই বিলুপ্ত প্রজাতির হাতে গোনা কিছু শকুনই রয়েছে গোটা দেশে।
প্রসঙ্গত, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সংরক্ষিত শকুনদের মধ্যে এর আগে ২০২১ সালে ১০টি শকুনকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। শরীরে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ। যার দ্বারা তাদের গতিবিধি সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য পাচ্ছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে শকুন সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে খোলা আকাশে ডানা মেলতেই সহচরদের সঙ্গে মিশে ভালই রয়েছে শকুনগুলি। এরপরেই আরও ১০টি শকুনকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে গত বছর প্রথম দফায় যে শকুনগুলিকে খোলা আকাশে ছাড়া হয়েছিল সেগুলিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে নতুন করে জন্ম নেওয়া শকুনেরা সে তালিকায় ছিল না। তবে এবারের তালিকায় প্রজনের পর থেকে এখানেই বেড়ে ওঠা শুকুনেরা।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জায়গা থেকে শকুনগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর সেগুলিকে সাধারণত সাধারন কুঠুরিতে রাখা হয়। কিন্তু, মুক্তির সিদ্ধান্ত হতেই সেগুলিকে নিয়ে আসা হয় রিলিজ এভিয়ারিতে। এবারেও ব্যাকড ভালচার প্রজাতির যে ১০টি শকুনকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেগুলিকে রিলিজ এভিয়ারিতে নিয়ে এসে রাখা হয়। সেখানে রেখেই তাদের বাইরে চলাফেরার কৌশল রপ্ত করা হয়। তারপরই খোলা আকাশে পাকাপাকিভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় সেগুলিকে। এখন দেখার বাইরের প্রকতির সঙ্গে কত দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে শকুনগুলি।