Hooghly: তিন বন্ধুর সঙ্গে রথের মেলায় গিয়েছিল বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র, ছেলের অবস্থা দেখে স্তম্ভিত বাবা

Hooghly: পাণ্ডুয়ার খন্যান পন্ডিত পাড়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয়  পণ্ডিতের ছেলে অর্পণ ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। মঙ্গলবার বিকালে উল্টো রথ দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে মগড়ায় যায় অর্পণ। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি।

Hooghly: তিন বন্ধুর সঙ্গে রথের মেলায় গিয়েছিল বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র, ছেলের অবস্থা দেখে স্তম্ভিত বাবা
দুর্ঘটনায় ছাত্রের মৃত্যুImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2024 | 12:32 PM

হুগলি: উল্টো রথের মেলা দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিল। তারপরই বিশেষ ভাবে সক্ষম যুবকের রহস্যমৃত্যু। স্কুল ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধল। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অর্পণ পণ্ডিত (১৭)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডুয়ার খন্যান পন্ডিত পাড়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয়  পণ্ডিতের ছেলে অর্পণ ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। মঙ্গলবার বিকালে উল্টো রথ দেখতে বন্ধুদের সঙ্গে মগড়ায় যায় অর্পণ। রাত হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। ছেলেকে খুঁজতে খন্যান চৌমাথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ধনঞ্জয়। তাঁর দাবি, রাতে তিনি  দেখেছিলেন অর্পণের তিন বন্ধু অটো করে বাড়ি ফিরছে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন অর্পণ কোথায়? বন্ধুরা সদুত্তর দিতে পারেননি।

তখন বন্ধুদের নিয়েই অর্পণের বাবা মগড়া থানায় যান। থানায় গিয়ে জানতে পারেন এক কিশোরকে পুলিশ আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মগড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে ছেলেকে দেখতে পান ধনঞ্জয়।অবস্থার অবনতি হওয়ায় মগড়া থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় অর্পণকে।সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের।

মৃত ছাত্রের বাবা ধনঞ্জয়ের দাবি,  তাঁর ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে এবং এই ঘটনার জন্য তার বন্ধুরাই দায়ী। অর্পণের দিদি পূজা ধারা বলেন, “আমার ভাই বিশেষভাবে সক্ষম। তাকে এভাবে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।”

অর্পণের বন্ধু মহাদেব ধারার মা আলপনা ধারা জানান, তাঁর ছেলে প্যান্ডেলের কাজ করে।কাজ থেকে ফিরে প্রতিদিনই বিকালে বাইক নিয়ে বেরোয়। গতকাল কোথায় গিয়েছিল কিছু বলে যায়নি। তারপর রাতে শুনলাম এই ঘটনা। মহাদেবের মায়ের দাবি,  “অর্পণই মহাদেবের বাইকের চাবি নিয়ে বলেছিল, ঘুরে আসি।”

তিন বন্ধুকে থানায় জিজ্ঞাসবাদ করছে মগড়া থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।