Sameer Wangkhede: শাহরুখের ‘জওয়ান’ মুক্তির আগেই স্বস্তি পেলেন সমীর ওয়াংখেড়ে
Bribery case: সিএটি জানিয়েছে, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দলে এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের থাকার কথা নয়। তিনিই কর্ডেলিয়া ক্রুজের মাদককাণ্ডের তদন্তের ভার দিয়েছিলেন ওয়াংখেড়েকে।

মুম্বই: SRK-র নামের সঙ্গে যেন জুড়ে গিয়েছে সমীর ওয়াংখেড়ের নাম! শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত কিং খান (SRK)। এর মধ্যেই স্বস্তির হাসি হাসলেন সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wangkhede:)। শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় শাহরুখের থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নারকোটিক্স ব্যুরো (NCB)-র প্রাক্তন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর অবশেষে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (CAT)-এ স্বস্তি পেলেন তিনি।
শাহরুখের ‘জওয়ান’ ছবিরই বিখ্যাত ডায়লগ, ‘বেটে কো হাথ লাগানে পেহলে বাপ সে বাত করো’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে ভাইরাল কিং খানের এই ডায়লগ। আর এই ডায়লগের সঙ্গে অনেকে সমীর ওয়াংখেড়ের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। বলছেন, NCB ওই কর্তাকে যেন বার্তা দিচ্ছেন শাহরুখ। শাহরুখের ডায়লগ ভাইরাল হওয়ার পর সমীর ওয়াংখেড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্টে নিকোল লিয়নসের একটি উদ্ধৃতি শেয়ার করেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘আমি আগুন গিলেছি। এবং আমি পুড়ে যাওয়া প্রতিটি সেতুর ভস্মের উপর নেচেছি। তোমার থেকে আমি বিন্দুমাত্র ভয় পাই না।’
সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। সেই ঘটনার তদন্তে এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের নেতৃত্বে স্পেশাল এনকোয়ারি টিম (SET) গঠন করা হয়। কিন্তু, জ্ঞানেশ্বর সিং কর্ডেলিয়া ক্রজে মাদককাণ্ডের তদন্তের শীর্ষে ছিলেন। তাই তদন্তকারী দলে জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সমীর ওয়াংখেড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সমীর ওয়াংখেড়ের সমর্থনেই পর্যবেক্ষণ জানাল সিএটি।
সিএটি জানিয়েছে, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দলে এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের থাকার কথা নয়। তিনিই নাকি কর্ডেলিয়া ক্রুজ সংক্রান্ত মাদককাণ্ডের তদন্তের ভার দিয়েছিলেন ওয়াংখেড়েকে। যেটিতে জড়িয়েছিলেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। তাই ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার আগে তাঁর স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা উচিত। অর্থাৎ SET কেবল ভুলভাবে গঠিত হয়নি, এর ফলাফল ভরসাযোগ্য ছিল না। তাই SET-এর উপর ভিত্তি করে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে করা এফআইআর গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রজের মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান। এনসিবি আরিয়ানকে গ্রেফতার করে। তারপর আরিয়ানকে জেল থেকে ছাড়ার জন্য তৎকালীন এনসিবি-কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে শাহরুখের থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওয়াংখেড়ে-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এব্যাপারে বম্বে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। যদিও আত্মপক্ষ সমর্থনে ওয়াংখেড়ে শাহরুখের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেন। যা নিয়ে নিজের সংস্থার রোষের মুখে পড়েন ওয়াংখেড়ে। ঘটনার পর্যবেক্ষণের জন্য এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংয়ের নেতৃত্বে স্পেশাল এনকোয়ারি টিম (SET) গঠন করা হয়। সেই দলের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। দীর্ঘদিন সেই মামলা চলার পর অবশেষে পর্যবেক্ষণ জানাল সিএটি।
