নিন্দুকরা বলেন, ভিতরে লাল ওপরে সবুজ এমন নেতানেত্রীর চাষ ২০১১-এর ভোটের বাজারেই হয়েছিল। তারপর ২০২১ এর নির্বাচনে ওপরে সবুজ ভিতরে গেড়ুয়া নেতানেত্রীর ফলনও খারাপ হয়নি। তবে সেসব নিতান্তই অপবাদকারীদের বক্তব্য। এসব কথা কর্ণাটকের কলাবুরাগির কোরালি গ্রামের গ্রাজুয়েট চাষী বাসবরাজ পাটিল জানেন কি না জানা যায়নি। তবে তিনি একটি অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন। এমনই কাজ যে নেটিজেনরা তা দর্শনমাত্র উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে বাসবরাজের কাজ! কেমন সেই কাজ! তিনি চাষ করে ফলিয়েছেন তরমুজ। যে সে তরমুজ নয়। অন্য ধারার তরমুজ। এই তরমুজ কাটলেই বেরছে লালের বদলে হলুদ শাঁস! আর সেই শাঁস নাকি স্বাদে লাল তরমুজের শাঁসকে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে করে দিতে পারে! যাঁরা সেই ফল খেয়েছেন তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন, লাল তরমুজের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি হলুদ তরমুজ!
আরও পড়ুন: ওজন ঝরাতে রোজ দরকার স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট!
এমনিতেই গ্রীষ্ম রুমাল নেড়ে টা টা জানাচ্ছে। তারমধ্যে দহন দিনের পুষ্টিকর ফল তরমুজও মিলিয়ে যাচ্ছে বাজার থেকে! ঠিক এমন সময় তরতাজা রূপে তরমুজকে ফলমোদীদের সামনে হাজির করে চমকে দিয়েছেন বাসবরাজ। গ্রাজুয়েট ফার্মার যে অবাক করেছেন তাই নয়, একইসঙ্গে তাঁর গুছিয়ে লক্ষ্মীলাভও হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন হলুদ তরমুজ চাষে প্রায় ২ লক্ষ খরচ হয়েছিল। তবে সেই খরচ সামলে লাভ হয়েছে ৩ লক্ষেরও অধিক। তিনি জানাচ্ছেন প্রত্যেকরই উচিত চাষে বৈচিত্র নিয়ে আসা। তিনি আরও জানিয়েছেন, হলুদ তরমুজ লাল তরমুজের মতোই পুষ্টিহলুদ রঙের গুণসম্পন্ন। তফাৎ শুধু রঙে। বাসবরাজ আগামীদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছেন, খুব শিগগির তিনি বিভিন্ন ‘মার্ট’ বা বহুজাতিক সবজি বিপণিগুলিতে যোগাযোগ করবেন। বিপণিতে হলুদ তরমুজ বিক্রি হলে লভ্যাংশে ইতিবাচক ফলাফল দেখা যাবে বলেই তাঁর আশা।