Piyali Basak in Everest: শিক্ষিকা থেকে মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট, ছোটোবেলায় কিশলয় বইয়ে পড়া এভারেস্ট অভিযানই অনুপ্রেরণা পিয়ালির

Piyali Basak in Everest:আঁকার হাত বরাবরই ভালো পিয়ালির। মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেছেন। সেই পিয়ালির এভারেস্ট জয়ে সাড়া পড়েছে গোটা দেশে।

Piyali Basak in Everest: শিক্ষিকা থেকে মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট, ছোটোবেলায় কিশলয় বইয়ে পড়া এভারেস্ট অভিযানই অনুপ্রেরণা পিয়ালির
ছবি - প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা থেকে মার্শাল আর্টে ব্ল্যাক বেল্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 6:31 PM

চন্দননগর: ছোটোবেলায় কিশলয় বইয়ে এভারেস্ট অভিযান (Everest expedition) পড়ে পাহাড়ের প্রতি টান অনুভব করেছিল মেয়েটা। তেনজিং নোরগেরা যে ভাবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছিল সেই কাহিনী রোমাঞ্চিত করেছিল তাঁকে। এরপর মা বাবার হাত ধরে ছয় বছর বয়স থেকেই ট্রেকিং শুরু। পাহাড়ে ওঠার নেশা পেয়ে বসে একরত্তি পিয়ালিকে। ২০০০ সালে ১ অগষ্ট অমরনাথ অভিযানে গিয়ে জঙ্গী হামলা খুব কাছ থেকে দেখা। কেদারনাথে গিয়ে মেঘভাঙা বৃষ্টি তুষার ধ্বস থেকে জীবন হাতে করে শুধু বেঁচে ফেরা নয়, প্রায় একশো জন তীর্থযাত্রীকে বাঁচানোর অভিজ্ঞতা পাহাড়ের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাঁর।

সেই মেয়েই গত বছর ১ অক্টোবর পৃথিবীর সপ্তম উচ্চ শৃঙ্গ (Seventh highest peak in the world) ধৌলাগিড়ি জয় করেন। যে চূড়ায় উঠতে গিয়ে অনেক পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে সেই ধৌলাগিড়ি দেশের মধ্যে প্রথম মহিলা হিসাবে জয় করেন পিয়ালি। তার আগে ২০১৮ সালে অষ্টম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেন। সেই মেয়েই এবার অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন গোটা দেশে। ২০১৯ সালে ৮৪৩০ মিটার পর্যন্ত উঠে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। এবার কৃত্তিম অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর সর্বচ্চ শিখরে উঠলেন চন্দননগরের এই পর্বতারোহী।

চন্দননগরের কানাইলাল প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন। এই স্কুলেই একদা পর্বতারোহীদের পোশাক সামগ্রী প্রদর্শনী দেখে বাবার কাছে পাহাড়ে চড়ার বুট কিনে দেওয়ার বায়না ধরেছিল ছোট্ট পিয়ালি। সেই স্কুলেরই শিক্ষিকা এখন তিনি। আঁকার হাত বরাবরই ভালো পিয়ালির। মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেছেন। আইস স্কেটিংয়ে রাজ্যের প্রথম মহিলা খেলোয়ার হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। কথায় আছে যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এ কথাটাই যেন বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য চন্দননগরের পিয়ালির জন্য। বাবা তপন বসাক দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। তাঁকে নিয়ে হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি, বাড়ির দোকান বাজার সবই একা হাতে করতে হয় পিয়ালিকে। পাহাড়ে চড়তে গিয়ে ঋণ হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তারপরেও হাল ছাড়েননি তিনি। ছেলেবেলায় বইয়ে পড়া এভারেস্ট অভিযান এবার নিজেই করে দেখালেন পিয়ালি। তবে মাথায় রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণ। পাশে থাকেনি রাজ্য থেকে কেন্দ্র কোন সরকারই।মা চান এবার কিছু একটা ভাবে পাশে থাকুক সরকার।