আইএফএ সচিবের পদত্যাগে তুমুল বিতর্ক ময়দানে

আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জির কার্যকলাপের সমালোচনায় মোহনবাগান-মহমেডান।

আইএফএ সচিবের পদত্যাগে তুমুল বিতর্ক ময়দানে
জয়দীপ মুখার্জির পদত্যাগে কাঠগড়ায় সভপতি অজিত ব্যানার্জি।
Follow Us:
| Updated on: Dec 26, 2020 | 7:21 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: আইএফএ সচিবের পদ থেকে জয়দীপ মুখার্জির পদত্যাগের পর কাঠগড়ায় আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। তাকে নিয়ে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন নতুন নয়। রাজ্য ফুটবল সংস্থার সভাপতি থাকার পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য তিনি। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মারাত্মক। প্রশ্ন উঠছে, সভাপতির চাপেই কি নিয়ম বিরুদ্ধ ফুটবলার খেলানো সত্বেও ইস্টবেঙ্গলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেওয়া হয়নি? কেন না, আগের ম্যাচেও একই ভুল করেছিল লাল-হলুদ। তখন তাদের ৩ পয়েন্ট কাটা গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, একই ভুলের জন্য একই টুর্নামেন্টে দু’রকম শাস্তি কেন ? ২০২০ সালেও আইএফএ আগের জায়গা থেকে সরতে পারল না। বড় ক্লাবের হাতের পুতুল হয়েই থেকে গেল। শুক্রবারের সিদ্ধান্তেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। শনিবার বারবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি আইএফএ সভাপতিকে।

আইএফএ সচিব হিসাবে ব্যতিক্রমী হতে চেয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলকে ফের সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ করে দেওয়াকে কিছুতেই মানতে পারেননি জয়দীপ মুখার্জি। তাই সরে দাঁড়ানোকেই শ্রেয় বলে মনে করেছেন তিনি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আইএফএ সভাপতিকে একহাত নিলেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু, “এই রকম কিছু লোকের জন্যই আইএফএ-র মত সংস্থার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। প্রেসিডেন্টও থাকবে আবার সেই ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্যও থাকবে। কোনও চক্ষুলজ্জা নেই। সেটাকে নিয়ে নোংরাভাবে পক্ষপাতিত্ব করবে। আমি স্যলুট করি জয়দীপ মুখার্জিকে। এই নোংরামি সহ্য না করে পদত্যাগ করেছেন। এইভাবে তো চালানো যায় না। কিছু লোকের এটা বোঝা উচিত। সংস্থা আগে। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ, ব্যক্তিগত বুন্ধত্ব সেখানে রাখার কোনও জায়গা নেই।”

আরও পড়ুন:সাহসী রাহানের জন্য লড়াকু ভারতকে দেখতে পাচ্ছি

কয়েকদিন পরেই বাংলায় শুরু হচ্ছে আই লিগ। আইএফএ-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে আই লিগ আয়োজন করবে ফেডারেশন। হঠাৎ করে জয়দীপ মুখার্জির পদত্যাগ আই লিগ আয়োজনে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই জানাচ্ছেন আই লিগ সিইও সুনন্দ ধর। কেননা, জয়দীপ মুখার্জি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে দায়িত্ব মেনে আই লিগের শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে সুনন্দ ধর মনে করেন, “জয়দীপ মুখার্জির নেতৃত্বে গত দেড় বছর ধরে আইএফএ যেভাবে পেশাদারভাবে কাজ করছিল, তাতে এটা বাংলা ফুটবলের পক্ষে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। তাই এআইএফএফের পক্ষ থেকে আমি জয়দীপ মুখার্জিকে ঠান্ডা মাথায় তার সিদ্ধান্ত আরও একবার বিবেচনা করার অুরোধ করব।”

মহমেডান ক্লাবের পক্ষ থেকে জয়দীপ মুখার্জিকে দায়িত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ফোনে জয়দীপ মুখার্জির সঙ্গে কথা হয় মহমেডান সচিবের। ওয়াসিম আক্রম বলছেন, “জয়দীপ মুখার্জির হাত ধরে বাংলা ফুটবল একটু একটু করে এগোচ্ছিল, উনি পদত্যাগ করলে তা থমকে যাবে। সেটা কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না।”