Indian Railway: শিব-তীর্থ তারকেশ্বর যাওয়ার পথে পড়বে কামারপুকুর, জয়রামবাটিও, কেন বারবার বাধা পাচ্ছে সেই রেল লাইনের কাজ?

Indian Railway: তারকেশ্বরের এই রেলপথ চালু হলে পর্যটকদের বিশেষ সুবিধা হবে, ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তার ওপরেই নির্ভর করতে হয় এই অঞ্চলে। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের কাজ অনেক দিন ধরেই আছে। কিছুদিন আগে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের হেতাল গ্রামের বাসিন্দারা আন্দোলনেও নেমেছিলেন।

Indian Railway: শিব-তীর্থ তারকেশ্বর যাওয়ার পথে পড়বে কামারপুকুর, জয়রামবাটিও, কেন বারবার বাধা পাচ্ছে সেই রেল লাইনের কাজ?
তারকেশ্বর থেকে চলছে রেল লাইনের কাজImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Mar 30, 2024 | 11:22 AM

তারকেশ্বর: বেশ কিছুদিন ধরেই আটকে আছে কাজ। রেল পথ তৈরির কাজে বারবার বাধা পেতে হচ্ছে। ফলে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর যাওয়ার রেলপথের পরিকল্পনা প্রস্তুত থাকলেও, ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না। এবার কাজ এগোতে সাধারণ মানুষের সাহায্য চাইছে পূর্ব রেল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলির সংযোগ স্থাপন করতেই এই রেলপথ চালু করা হচ্ছে। অনেকেরই জানা যে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর টেরাকোটার মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে, তারকেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢালতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত যান ভক্তরা। ফলে এই দুই জায়গার সংযোগ স্থাপন করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

শুধুমাত্র তারকেশ্বর আর বিষ্ণুপুরই নয়, আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছুঁয়ে যাবে এই রেলপথ। রেল লাইনের মাঝেই পড়বে রামকৃষ্ণের স্মৃতি বিজড়িত কামারপুকুর ও সারদা দেবীর জন্মস্থান জয়রামবাটি। এই দুই জায়গা ছাড়াও স্টপেজ থাকবে বড়গোপীনাথপুর, ময়নাপুর, গোকুলনগর, জয়পুরের মতো জায়গায়।

উত্তর ভারতে ঠিক যেভাবে রেলপথের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রয়াগরাজ, অযোধ্য়া থেকে খাজুরাহো, সে কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য এই পরিকল্পনা করেছে রেল। উত্তর ভারতে এই পরিকল্পনা অত্যন্ত সফল বলেও দাবি রেলের।

তারকেশ্বরের এই রেলপথ চালু হলে পর্যটকদের বিশেষ সুবিধা হবে, ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে রাস্তার ওপরেই নির্ভর করতে হয় এই অঞ্চলে।

উল্লেখ্য, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেললাইনের কাজ অনেক দিন ধরেই আছে। কিছুদিন আগে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের হেতাল গ্রামের বাসিন্দারা আন্দোলনেও নেমেছিলেন। রেল লাইনের উঁচু জায়গায় জল আটকে গেলে গ্রাম পর্যন্ত ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের। তাই তাঁদের দাবি, একটা কালভার্ট তৈরি করে দিক রেল। তবেই তাঁরা রেলপথ করতে দেবেন।