পলাশ দেখতে পুরুলিয়া যাচ্ছেন? বসন্তের আমেজে ভিড় জমান এই ৩ অফবিট স্পটে
Offbeat Purulia: পলাশ দেখতেই শহর থেকে মানুষ ছুটে যান প্রকৃতির কোলে। আজকাল পুরুলিয়ার মধ্যেও বাঙালি অফবিট স্পট খুঁজছেন। যেখানে লাল পলাশ আর নিরিবিলি পরিবেশ দু'টোই পাওয়া যাবে। ফাগুনের হাওয়ায় এমন ট্যুরিস্ট স্পটের অভাব নেই পুরুলিয়ায়। এমনই ৩টি জায়গার খোঁজ রইল আপনার জন্য।

মোটামুটি শীত থেকে পুরুলিয়ায় পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। যদিও আজকাল সারাবছরই পুরুলিয়ায় পর্যটকদের ভিড়। ছোট্ট উইকএন্ড পেলেই মানুষ বেরিয়ে পড়েন। তবে, বসন্ত এলে একটু বেশিই মানুষ ভিড় করেন লাল মাটির দেশে। এই জেলার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে নানা পর্যটন কেন্দ্র। এই সময় জয়চণ্ডী পাহাড়, গড়পঞ্চকোট থেকে শুরু করে বড়ন্তি, অযোধ্যা সব জায়গায় পর্যটকদের ভিড়। তাছাড়া পলাশ দেখতেই শহর থেকে মানুষ ছুটে যান প্রকৃতির কোলে। আজকাল পুরুলিয়ার মধ্যেও বাঙালি অফবিট স্পট খুঁজছেন। যেখানে লাল পলাশ আর নিরিবিলি পরিবেশ দু’টোই পাওয়া যাবে। ফাগুনের হাওয়ায় এমন ট্যুরিস্ট স্পটের অভাব নেই পুরুলিয়ায়। এমনই ৩টি জায়গার খোঁজ রইল আপনার জন্য।
দুয়ারসিনি: ছোট ছোট পাহাড় আর শাল-শিমুল-পিয়ালের বন নিয়ে গড়ে উঠেছে দুয়ারসিনি। জঙ্গলের মাঝে, ছোট ছোট কটেজে রাত কাটানোর সুযোগ রয়েছে এখানে। এই অফবিট স্পটে একটি ভিউ পয়েন্ট রয়েছে, যেখান থেকে দেখা যায় গোটা দুয়ারসিনির জঙ্গল। দুয়ারসিনি থেকে ঘুরে দেখতে পারেন হাড়গাড়া জঙ্গল, টটকো জলাধার, রাইকা পাহাড়। এছাড়া হাতিবাড়ি ও ঘাটশিলার মতো জায়গাও দুয়ারসিনির খুব কাছেই অবস্থিত।
মুরগুমা: মুরগুমাকে অফবিট বললে ভুল হবে। পুরুলিয়া এলে বহু মানুষই আজকাল ঘুরে যান মুরগুমা। তবু, এমন শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ পুরুলিয়ার অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া কঠিন। অযোধ্যা সার্কিটে অবস্থিত মুরগুমা। ছোট ছোট পাহাড়ে ঘেরা জলাশয়। মুরগুমার অন্যতম আকর্ষণ হল সুইসাইড পয়েন্ট। সেখানে দাঁড়িয়ে যত দূর চোখ যাবে পলাশ, শাল, সেগুন, মহুলের সবুজ বনানী, তার সঙ্গে।
ময়ূর পাহাড়: অযোধ্যা পাহাড়ের একটা বর্ধিত অংশ হল ময়ূর পাহাড়। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে, পাহাড়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই পর্যটক কেন্দ্র। ময়ূর পাহাড়ে ওঠার জন্য সিঁড়িও রয়েছে। সেখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে সমগ্র পাহাড়ি অঞ্চলটা দেখা যায়। বরং বলা চলে, অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন অংশ দেখা দেয়। পলাশের মরশুমে এখানে গেলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। এছাড়াও এখানে একটি মন্দির রয়েছে।
