চোখে শসার কুচি দেওয়ার উপকারিতা নিশ্চয়ই জানেন। এতে চোখের ফোলা ভাব ও ডার্ক সার্কেল এড়ানো যায়। কিন্তু ত্বকের উপর শসার উপকারিতা এখানেই শেষ নয়। দক্ষিণবঙ্গে গরমের যে দাবদাহ, তাতে ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে শসা। গরমে ত্বকে শীতলতা ও সতেজতা এনে দিতে পারে শসা। শসার মধ্যে ভিটামিন এ, বি, ও সি, ফলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শসার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। শসা ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের সমস্যা কমায়। ত্বকে তরুণ করে তোলে। ত্বকের যৌবন ধরে রাখে শসা। বাড়ায় ত্বকের জৌলুস। পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে শসা। ত্বকের যত্নে কীভাবে শসা ব্যবহার করবেন, দেখে নিন এক নজরে।
১) ত্বকের উপর সরাসরি শসা ব্যবহার করতে পারেন। শসা কেটে ত্বকের ঘুষে নিন। শসা বেটের এর রসও মুখের উপর লাগাতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
২) শসা পেস্ট করে নিন। এতে মধু, অ্যালোভেরা জেল কিংবা টক দইয়ের মতো উপাদান হিসেবে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। শসার ফেসপ্যাক ত্বকের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এই ফেসপ্যাক ত্বককে টানটান করে তুলবে, ময়লা পরিষ্কার করে দেবে এবং ত্বকের কমপ্লেক্স উন্নত করবে।
৩) রোজের স্কিন কেয়ারে শসার টোনার ব্যবহার করতে পারেন। শসার পেস্ট বানিয়ে এর রস ছেঁকে নিন। শসার রসের সঙ্গে জল মিশিয়ে নিন। এই ফেস টোনার ফ্রিজে রেখে দিন। গরমে ত্বকে সতেজতা পেতে মুখে স্প্রে করে নিন শসার টোনার।
৪) বডি ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা বা গ্রিন টিয়ের তৈরি সাবান বা বডি ওয়াশের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে নিন। শসার রস দিয়ে তৈরি বডি ওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ ও হাইড্রেটেড থাকবে।
৫) ত্বকের যত্নে শসার স্ক্রাব বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। শসার কুড়ে নিন। এতে ওটস বা চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। শসার স্ক্রাব ত্বকের উপর ঘষে নিন। এটি ত্বকে থেকে ময়লা, মৃত কোষ পরিষ্কার করে দিন। এতে ত্বক নরম, কোমল ও সুন্দর দেখাবে।