Haircare Tips: গরমে স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য এই ৩টি উপায় হল সেরা! ট্রাই করলে সুফল পাবেনই

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Apr 12, 2022 | 9:49 PM

Summer Hair Care: চুলের বাইরের অংশ দেখে নয়, গভীরে গিয়ে বোঝা উচিত, চুলের অবস্থা কেমন। চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি আদৌও প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা প্রথমে জানা দরকার।

Haircare Tips: গরমে স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধির জন্য এই ৩টি উপায় হল সেরা! ট্রাই করলে সুফল পাবেনই

Follow Us

যে ব্যক্তিত্বে চুল হল অবিচ্ছেদ্য অংশ। চুলের কারণে যে কোনও মানুষের চেহারা ও আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। চুল পড়ে গেলে বা ঝরে পাতলা হয়ে টাক দেখা দিলে সকলেই প্রায় আতঙ্কে থাকে। চুল ঝরে পড়ার কারণে গভীর মানসিক প্রভাব তৈরি হয়।

চুলের বাইরের অংশ দেখে নয়, গভীরে গিয়ে বোঝা উচিত, চুলের অবস্থা কেমন। চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি আদৌও প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা প্রথমে জানা দরকার। স্ক্যাল্প হল চুলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর উপাদান। যা চুলের বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখে। স্বাস্থ্যকর, মসৃণ এবং চকচকে চুলের বৃদ্ধির জন্য স্ক্যাল্পের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার।

স্ক্যাল্পের যত্ন নেবেন কীভাবে

স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প মানেই স্বাস্থ্যকর চুল। মাথার ত্বকের যেকোনো সমস্যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিণতি হয়। যার কারণে চুলের খাদের বাইরের স্তরকে প্রভাবিত করে যাকে কিউটিকল বলা হয়। তাতে চুলের রুক্ষতা এবং উজ্জ্বলতা কমে যায়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস অকালে চুল পড়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে অত্যধিক খুশকির ক্ষেত্রে।

শ্যাম্প কীভাবে প্রয়োগ করবেন- শ্যাম্পু হল মাথার ত্বক পরিষ্কার করার এবং সুস্থ রাখার প্রাথমিক উপায়। শ্যাম্পু মূলত মাথার ত্বকের জন্য ব্যবহার করা হয়। মাথার ত্বক পরিস্কার করার জন্য প্রথমে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২-৩ মিনিটের জন্য মাসাজ করতে হয়। তারপর হালকা গরম জল গিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হয়। সপ্তাহে ২বার ২-৩ মিনিটের জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন করা সময় তাতে সালফেট ও প্যারাবেন মুক্ত কিনা তা দেখে নিন। এই রাসায়নিকগুলো মাথার ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষচিকারক। তবে যাঁদের মাথার ত্বক শুষ্ক, তাদের বারবার শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভাল।

মাথার ত্বতে মাসাজ করা- প্রতি সপ্তাহে মাথার ত্বকে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়, তাই মাথার ত্বক ও এপিডার্মাল অঞ্চলে আরও পুষ্টি যোগান দেয়।

খুশকি ও তার কারণ- খুশকির জেরে মাথার ত্বকে চুলকানি দেখা যায়। মাথায় সব সময় নতুন ত্বকের কোষ তৈরি হচ্ছে। ম্যালাসেজিয়া গ্লোবোসা নামক আমাদের মাথার ত্বকে থাকা ইস্টের কারণে তা হয়ে থাকে। মাথার ত্বকে যদি অতিরিক্ত খুশকি থাকে, তাহলে অ্যান্টি-ড্যান্ড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাতে জিঙ্ক পাইরিথিওনের মত সক্রিয় যৌগ রয়েছে। অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ ম্যালাসেজিয়া গ্লোবোজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আবার চুলের কিছু পণ্যের প্রতিক্রিয়া হিসাবেও খুশকি হতে পারে। এই ধরনের খুশকিকে কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস বলা হয়।

হেয়ার কন্ডিশনার- চুলের গভীর পর্যন্ত ভাল রাখার অন্যতম সেরা উপায়। এগুলি মাথার ত্বকে মাসাজ করার দরকার নেই। আলতো করে গোটা চুলের উপর কন্ডিশনার লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে চুল পুরো ধুয়ে ফেলুন। এতে কিউটিকলগুলিকে সঠিকভাবে বন্ধ করে ও চুলের গভীর পর্যন্ত পুষ্টি সরবরাহ করে।

সূর্যরশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করুন- ত্বকের মতই সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি চুলের গভীর পর্যন্ত ক্ষতি করতে পারে। তাতে চুল অকালে ঝরে যায় ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। প্রথমদিকে ধূসর হয়ে অকালে পেকেও যেতে পারে। পাউডার, ক্রিম, লোশন জেল বা স্প্রের আকারে বিশেষ পণ্য পাওয়া যায়। দীর্ঘ সময়ের জন্য রোদে থাকার আগে এসপিএফ-সহ পণ্য ব্যবহার করুন। এছাড়া চুলকে রক্ষা করতে ওড়না বা সুতির ওড়না দিতে পারেন।

সুস্থ চুলের জন্য ডায়েট- স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই, জিঙ্ক, আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এমন পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।

আরও পড়ুন: Summer Skin Care: ঘামে-রোদে ত্বকের অবস্থা বেহাল! এই সহজ ঘরোয়া উপয়াগুলি মানলেই পান ঝকঝকে ও কোমল ত্বক

Next Article