সুন্দর ত্বকের জন্য ঘরোয়া টোটকা, বিদেশি পণ্য ব্যবহারে কোনও ত্রুটি রাখি না। শুধু তাই নয় মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বিউটি ট্রিটমেন্টও (Beauty Treatment) করে থাকেন অনেকে। মুখে ব্লিচ (Bleaching) ব্যবহার করার একটি সাধারণ ট্রিটমেন্ট বলা যেতে পারে। চটপট মুখে গ্লো আনতে ও পরিস্কার ঝকঝকে ত্বকের জন্য মুখে ব্লিচ করেন অনেকে।বিশেষ করে যাঁরা বিয়ে করেন বা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তাঁরা আগেরদিন ব্লিচ করেন। মুখের ত্বকে কালো দাগ (Tanned Skin) নির্মূল করতেও ব্লিচ ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, মুখে ব্লিচ করার ফলে মুখের মধ্যে অবাঞ্ছিত লোমও ঢেকে দেওয়া যায়। কিন্তু ত্বকের জন্য ব্লিচ কতটা উপকারী? নিয়মিত ব্লিচ ব্যবহারের ত্বক কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তা অধিকাংশই জানেন না।
ত্বককে সুস্থ রাখতে হলে কখনওই ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। ত্বকে রাসায়নি দ্রব্য যতই কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভাল। ত্বকের উপর তাতে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। ব্লিচ করার পরেই তা লক্ষণীয় নয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব। এই ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট ত্বকের জন্য কতটা খারাপ তা এখানে জেনে নিন। ব্লিচ করার আগে এই সাতটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জেনে রাখুন, উপকার পাবেন।
– নিয়মিত ব্লিচ করার ফলে ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যায়। ক্ষতবিক্ষত ত্বকের অন্যান্য সমস্যাগুলিও দেখা দিতে শুরু করে। ব্লিচ ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ক্ষতগুলি নিরাময় করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
– মুখে ব্লিচ ব্য়বহার করলে ত্বকে জ্বালাভাব অনুভূত হয়। কারণ ব্লিচের মধ্যে সামান্য পরিমাণ পারদ থাকে, তার জেরে জ্বালাভাব অনুভূত হয়। এছাড়া পারদের বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।
– বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে ব্লিচ করার ফলে ডার্মাটাইটিস হতে পারে। এই অবস্থায় ত্বকে চুলকানি দেখা যায়। শুষ্ক হয়ে ত্বকের উপর চামড়া উঠতে শুরু করে।
– কিছু কিছু ব্লিচে স্টেরয়েড থাকে। এই জাতী পণ্য নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ব্রণের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে।
– ব্লিচ করার পর ত্বকের উপর জ্বালাভাব ও পোড়া দাগ তৈরি হয়। সেই ক্ষতি সারতে ও ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগে।
– হাইড্রোকুইনোন-যুক্ত ব্লিচ ক্রিম বেশি ব্যবহার করলে ত্বকে পিগমেন্টেশেনের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
– ব্লিচের পণ্যগুলি থেকে ত্বকে অ্য়ালাজির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। চোখে কখনও ব্লিচ করবেন না। তাতে চোখের নানা গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
– যদি ব্লিচ করেই থাকেন, তাহলে যেদিন ব্লিচিং করছেন সেদিন সূর্যালোকের সংস্পর্শে না আসার চেষ্টা করুন। এটি একটি রাসায়নিক সমৃদ্ধ পণ্য, যা সূর্যালোক বা সূর্যের শক্তিশালী রশ্মির সংস্পর্শে আসার কারণে নেতিবাচক প্রভাব দেখাতে পারে।
– ব্লিচ করার পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তারপরে ময়েশ্চারাইজার লাগান এবং তারপরে সানস্ক্রিন লাগান। আপনার ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়শ্চারাইজড রাখলে ব্লিচিং করলে ত্বকের কোনও ক্ষতি হয় না।