অকালে চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতে ব্যবহার করুন এগ ওয়েল!

স্কিন ও চুলের জন্য কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মাথার ও মুখের ত্বক খুব তাড়াতাড়ি কোলেস্টেরল শোষণ করে নেয়। শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের জন্য যা অত্যন্ত উপকারীও বটে।

অকালে চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতে ব্যবহার করুন এগ ওয়েল!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2021 | 4:11 PM

প্রাকৃতিক তেল হিসেবে আমরা ত্বকে ও চুলের সমস্যা দূর করার জন্য ব্যবহার করে থাকি। নারকেল তেল, আমন্ড তেল, ক্যাস্টর ওয়েল, অলিভ ওয়েল, এইগুলোকেই আমরা সেরা প্রাকৃতিক তেল হিসেবে চিহ্ণিত করে থাকি। এই প্রাকৃতিক তেলের উপকারীতা সম্পর্কে কিছু অজানা নয়। তবে সম্প্রতি আর একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক তেল হিসেবে যোগ হয়েছে, তা হল ডিমের তেল বা এগ ওয়েল। ভাবছেন, মজা করা হচ্ছে। মোটেই না। নয়া প্রাকৃতিক তেল সম্বন্ধে কিছু অজানা তথ্য দেওয়া হল আপনাদের জন্য…

এগ ওয়েল কী

ডিমের কুমুসের তেলের নাম হয়তো অনেকে শুনে থাকতে পারেন। ডিমের হলুদ অংশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল ও ফশফোলিপিডস। সঙ্গে রয়েছে ট্রাইগ্লিসেরাইডসও। স্কিন ও চুলের জন্য কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মাথার ও মুখের ত্বক খুব তাড়াতাড়ি কোলেস্টেরল শোষণ করে নেয়। শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের জন্য যা অত্যন্ত উপকারীও বটে। অন্যদিকে ডিমের তেলেও রয়েছে প্রয়োজনীয় পলি-স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন ওনেগা ৩ ও ওমেগা ৬। যা কোষের সাধারণ বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: ত্বকের পরিপূর্ণ যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন কীভাবে?

উপকারীতা

অকালে চুলে পড়ে যাওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ডিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা ৩ ও ওনেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। চুলের পরিপূর্ণ যত্নের জন্য উপকারী উপকরণও বটে। ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ও কোষের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ইবফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা চুলের অকালপক্বতা, খুসকি, চুল ঝরে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করে।

শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে এই এগ ওয়েল বেশ উপকারী।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টর গুণ। চুলের গোড়া শক্ত করতে, খুসকি দূর করতে, ঘন ও মসৃণ কালো চুলের জন্য এই তেল ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ও শুষ্ক ত্বক ও চুলের জন্য এগ অয়েল ব্যবহার করতে উপকার পাবেন কয়েক সপ্তাহেই।