নতুন সালে নয়া সিদ্ধান্ত। ত্বক তো বটেই পাশাপাশি চুলেরও যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই নতুন বছরের গোড়াতেই চুলের যত্নের রুটিন শুরু করার ছোট পদক্ষেপটি নিয়েই নিন। বছরের শুরুতেই সকলের একটি নিউ ইয়ার রিজোলিউশন নেওয়া থাকে। সেই লিস্টে অবশ্যই ত্বক ও চুলের যত্নের কথা ভেবে রেখেছেন। তবে এবার ত্বক ও চুল একসঙ্গে নয়, আলাদা আলাদা যত্নের কথা নোট করে রাখুন।
হালকা গরম জলে পরিস্কার করা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক টেক্সচার বজায় রাখার কোনও ধাপই জানুয়ারির শুরু থেকে মিস করবেন না। গত বছরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন, কোন কালার আপানর চুলে মানাবে, কেমন হেয়ারকাট করবেন তা নিয়ে চিন্তাভাবনা এখনই নোট করে রাখুন।
একটি মাত্র শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারই ব্যবহার করুন
নিখুঁত সৌন্দর্যের জন্য রুটিন মেনে অনেকেই প্রায়ই মিস অ্যান্ড ম্যাচিং করেন। তবে চুলের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। চুলের সঠিক যত্নের জন্য একটি প্রোডাক্টেরই শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও হেয়ারমাস্ক ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ । সাধারণত পণ্যগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেখানে সবকটি একসঙ্গে ব্যবহার করলে তবেই তা কার্যকরী হয়। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। চুলের ধরন অনুসারে চুলের যত্নের ব্যবস্থা নেওয়া সবসময়ই ভাল।
প্রাকৃতিকভাবে চুলের যত্ন নিন
সপ্তাহে চুলের সবকিছু থেকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। পুলের জেল্লা ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সপ্তাহান্তে পরিস্কার করুন। স্বাভাবিক বাতাসে শুকোতে দিন, ডাই হেয়ার স্টাইলিং পণ্যগুলি থেকে এড়িয়ে চলুন ও চুলকে খোলা অবস্থায় রেখে দিন। পনিটেল বা টাইট হেডব্যান্ড ব্যবহার করবেন না।
হট শাওয়ার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
হট শাওয়ারের স্টিম বা বাস্প আনন্দের সঙ্গে অনুভব করলেও চুলের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিগরম জল চুলের প্রাকৃতির আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। চুলকে আরও শুষ্ক করে তোলে। স্নানের সময় সবসময় হালকা গরম জল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
স্ক্যাল্প স্ক্রাব ব্যবহার করুন
অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করতে আপনার মাথার ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
প্রতি সপ্তাহে চুলকে কন্ডিশনড করুন
একটি স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য হাইড্রেট করা প্রয়োজন। আর হাইড্রেশনের জন্য প্রতি সপ্তাহে চুলের যত্নের রুটিনে ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ব্রাশ করবেন না
চুলে ব্রাশ করা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু দিনে একবারের বেশি ব্রাশ করা আরেকটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। অতিরিক্ত ব্রাশ করলে চুলে ঝরে যায়। আবার গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সর্বদা দিনে একবার চুল আছড়ান। কাঠের বা প্লাস্টিকের ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট বজায় রাখুন
স্বাস্থ্যকর চুলের সঙ্গে ডায়েটের কোনও সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন অনেকে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট আপনার চুলকে ঘন, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সক্ষম হয়। প্রোটিন ও ভিটামিন-সহ একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা অতি-প্রয়োজন। প্রোটিন চুলের বিল্ডিং ব্লক কারণ চুল হল কেরাটিনাইজড প্রোটিন।