প্রতীকী ছবি
লম্বা-সোজা চুল পেতে একদিন গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে পার্লারে গিয়ে চুল স্ট্রেট করিয়েছিলেন আপনি। বেশ ভাল লাগছিল আপনার। আমোদে ছিলেন। চুল আঁছড়াতে হচ্ছে না। শ্যাম্পু করেই বেরিয়ে পড়ছেন বাইরে। চুল নিজে থেকে ঠিক থাকছে। সব ঠিক মতো চলে। কিন্তু মাস কয়েক পর থেকেই আপনার সুখের জীবনে অন্ধকার ঘনিয়ে আনল চুল। কালো মেঘ থেকে বৃষ্টির মতো চুলও ঝরতে শুরু করল। সব দোষ গিয়ে পড়ল স্ট্রেটনিংয়ের উপর।
কী কী বিষয়ে নজর রাখবেন –
- চুলের বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্টাইলিংয়ের সময় চুলে হিট লাগালে, অতিরিক্ত ব্লো-ড্রাই করলে দুর্বল হয়ে যায় চুলের গোড়া। তাই স্ট্রেট করা চুলে হিট দেবেন না। ভয়ানক ক্ষতি হয়ে যাবে না হলে।
- স্ট্রেটনিং কিংবা স্মুদনিং করলে এমনিতেই চুলে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার হয়। ফলে চুল স্ট্রেট করার আগে স্যালোঁতে দিয়ে এক্সপার্টকে জিজ্ঞেস করবেন, আপনার চুল আদতেও স্ট্রেটনিংয়ের উপযুক্ত কিনা। তাঁরা যদি আপনার চুল পরীক্ষা করে স্ট্রেটনিংয়ের পরামর্শ না দেন, নিজের শখ মেটাতে স্ট্রেনিং করবেন না।
- স্যালোঁতে যাওয়ার আগে সেটি সম্পর্কেও ভাল মতো হোমওয়ার্ক করে নেবেন। রেটিং চেক করে নেবেন। অনেক স্যালোঁতেই কম খরচে স্ট্রেটনিং করানো হয়। সেটা হলে জানবেন, ভাল মানের প্রসাধনী ব্যবহার করা হচ্ছে না।
- যদি পরামর্শ মতো স্ট্রেট করিয়েও নেন, চুল ভাল রাখতে অনেককিছু মানতে হবে আপনাকে। নিয়মিত স্পা করতে হবে। স্ট্রেটনিং চুলের জন্য আলাদা শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পাওয়া যায়, সেটা ব্যবহার করতে হবে।
জানবেন, চুলের সৌন্দর্যের জন্য বাইরের যত্ন যেমন দরকার, ভিতরের পুষ্টিও জরুরি। চুল তৈরি হয় কেরাটিনের গুণে। সেটি একটি প্রোটিন। তাই খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রোটিন। তা বলে অতিরিক্ত প্রোটিন খাবেন না। কোনও কিছুরই অতিরিক্ত ভাল নয়।
আরও পড়ুন: Aishwarya Rai Bachchan: প্রাকৃতিক উপাদানই ঐশ্বর্যর সৌন্দর্য সিক্রেট