হঠাৎ করেই পেকে যাচ্ছে চুল! বয়স হওয়ার আগেই বয়স্ক বলে লোকের রসিকতা শুরু। সমস্যার সমাধানের জন্য বেছে নিলেন বাজারে পাওয়া বিভিন্ন হেয়ার কালার। এতে হল আরও বিপদ। চুল সাদা হওয়ার পরিমাণ আরও বাড়তে থাকল। সঙ্গে চুল ঝরতেও শুরু করল। এই সমস্যার সমাধান কিন্তু খুব সহজেই করতে পারেন। এর জন্য মোটেই হেয়ার কালারের দরকার নেই। বরং ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
১) রোজ খাদ্য়তালিকায় রাখুন আমলকি। এছাড়াও আমলকির পেস্ট বানিয়ে চুলে মেখে নিতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেললেই এর উপকার পাওয়া যায়। আমলকি চুলকে সতেজ রাখে এবং গোড়া থেকে ধরে রাখে।
২) বাদামের তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। এতে চুল পাকার হার কমবে। আর আপনার চুল সব সময় সতেজ থাকবে।
৩) কম বয়সে চুল পাকা ঠেকাতে ব্ল্যাক টি দারুণ কার্যকর। চায়ের পাতা সিদ্ধ করে তা ঠান্ডা করে নিতে হবে। মাথায় এটি ঘণ্টাখানেক রাখতে হবে। পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুলের রঙ দীর্ঘস্থায়ী হয়। যার ফলে চুল সাদা হওয়ার বা পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বিশেষ থাকে না।
৪) উষ্ণ সরষে বা নারকেল তেল নিয়মিত মাথায় ম্যাসাজ করলে চুল পাকা কমতে পারে। কারণ, এর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যে কারণে, মাথার চুল সঠিক পুষ্টি পেতে পারে।
৫) প্রচুর জল খান। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে, অকালে চুল পাকবে না। জল মাথার ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি খুব সহজেই সরবরাহ হতে পারে।
৬) ফাস্টফুড খাওয়া কমিয়ে দিন। চেষ্টা করুন লিভার ভাল রাখতে। লিভার ভাল থাকলে চুল, ত্বক সবই ভাল থাকবে। লিভারে সমস্যা দেখা দিলে তা চুল এবং ত্বকে নানান সমস্যার শুরু করতে পারে। হজম ঠিক না হলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
৭) নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে একটু গরম করে নিন। ঠান্ডা হলে রাতে শোয়ার আগে মাথায় সেই মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। এতে চুল পাকার পরিমাণ কমে যাবে। আর চুল পড়া থেকে শুরু করে চুল পেকে যাওয়া, এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৮) টক দইয়ের সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণকে মাথায় মেখে নিন। ১০ মিনিট মতো রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন আপনার চুল বেশ খানিকটা ঝরঝরে আর সতেজ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: Skin Care Products: ত্বকের জন্য কোনও নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে চলুন…