ম্যাগাজিন, টিভির পর্দা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় চুল ও ত্বকের পরিচর্চার জন্য টিপস নিই। এছাড়া বহু মানুষের কাছ থেকেও পরামর্শ নেওয়া হয়। যত বেশি মানুষের কাছ থেকে এই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হবে, ততবেশি বিভ্রান্ত তৈরি হবে। বিশেষত ত্বকের যত্নের জন্য আরও বেশি করে প্রভাব পড়ে। স্কিন কেয়ার নিয়ে মিথ বা ধারণা সম্পর্কে আরও জেনে রাখা দরকার। কারণ বহু ধারণাই ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। নয়া প্রতিকার ব্যবহার করার আগে সাধারণ স্কিনকেয়ার রুটিন মিথ সম্পর্কে জেনে নিন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের পরিচর্চার জন্য একটি মাত্র নিয়ম মেনে যত্ন নিন।
প্রতিদিন এক্সফোলিয়েট করা উচিত
সপ্তাহে একবারের বেশি এক্সফোলিয়েট করা উচিত নয়। শারীরিক ও রাসায়নিক এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করার সময় আলতো ছোঁয়ায় করা উচিত। কারণ এগুলি আপনার ত্বককে ক্ষতি করতে পারে। মাইক্রোটিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তবে ত্বককে কোমল করার সঠিক চাবিকাঠি হল এক্সফোলিয়েশন।
ঘরের মধ্যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত নয়
বাড়ির বাইরে পা না দিলেও আপনার ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অতি প্রয়োজন। কারণ, মেঘলা দিনেও ৮০ শতাংশ সূর্যের রশ্মি আপনার ত্বকে প্রবেশ করে। আসলে সারা বছরই ভাল মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
বেশি করে পণ্য ব্যবহারে সুবিধা মেলে
ত্বকের পরিচর্চার জন্য মানুষের সবচেয়ে বড় মিথ। মুখের ত্বকের ছিদ্রগুলির মুখে যাতে ময়লা না জমে তার জন্য ত্বকে কম পণ্য প্রয়োগ করা উচিত। বেশি পণ্য ব্যবহার করে ত্বককে দমবন্ধ পরিস্থিতিতে ফেলবেন না। তাতে ত্বকের চরম ক্ষতি হয়।
৫০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য আলাদা পণ্য
যতটা সম্ভব অকাল-বার্ধক্য বিরোধী স্কিনকেয়ার রুটিন শুরু করতে পারেন। যে সময়েই আপনার মুখে ফাইনস লাইন ও বলিরেখা দেখা দেবে, সেই সময়ই ত্বকের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
ঘরোয় উপায়ে ত্বকের কোনও সুবিধা হয় না
ত্বকের জন্য রাসায়নিক নয়, প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল উপায়।, ব্যয়বহুল স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডগুলিতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করার পরিবর্তে, রান্নাঘরের সরঞ্জাম দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন উপকারী ফেসপ্যাক। সেগুলিতে ত্বক হাইড্রেট থাকে, উজ্জ্বলতাও বজায় থাকে।
ব্যয়বহুল পণ্য সবচেয়ে ভাল কাজ করে
পণ্যের মূল্যের বিচারে ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকে না। ত্বকের জন্য দামি পণ্য খুঁজে বের করে দেখলেন সেটি তেমন কাজ করছে না । অন্যদিকে সস্তার একটি পণ্যে সেই তুলনায় ভাল কাজ দিতে পারে।